ঢাকা, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুন ০৫ ২০:২১:৪২
তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।

পোস্টে তারেক রহমান লিখেছেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। তাদের অব্যাহত সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য কামনা করি। ঈদ মোবারক।’

তিনি লেখেন, ঈদুল আজহা অর্থ ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ত্যাগ করা। পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে, মাংস বা রক্ত কোনোটাই আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, পৌঁছায় তোমার মনের পবিত্র ইচ্ছা।

বিশ্বাসীদের পবিত্র আকাঙ্ক্ষা হলো আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করা। তিনি বলেন, এই নৈকট্য অর্জনের প্রত্যাশায় মানুষ কোরবানি দেয়। আত্মত্যাগ, আত্মশুদ্ধি ও পরিশুদ্ধতার মহিমান্বিত বার্তা নিয়েই প্রতিবছর ফিরে আসে পবিত্র ঈদুল আজহা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সামাজিক অনাচার আর বহুমুখী সংকটের মাঝেও দেশের মুসলিম জনগণ ঈদের আনন্দ ও উৎসবে উচ্ছ্বসিত থাকে।

তিনি মন্তব্য করেন, দেশের মানুষ গত দেড় যুগ ধরে ফ্যাসিবাদের কঠিন সময় পার করেছে। তবে গত বছরের ৫ আগস্টে সেই অপশক্তির পতনের পর এইবার তুলনামূলক স্বস্তির পরিবেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সেই সময়ের অপশক্তির লোভী ও অনৈতিক আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজকে মূল্যবোধহীন করে তুলেছিল। এখন সময় এসেছে — সবাই মিলে শান্তি, সম্প্রীতি ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করার। যেন দুর্নীতি, লুটপাট ও বৈষম্যের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

তিনি বলেন, ঈদুল আজহা ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবের অপরিহার্য অংশ হলো পশু কোরবানি। এটি চিত্তশুদ্ধি ও আত্মশুদ্ধির একটি অনুশীলন। ধৈর্য, বিশ্বাস এবং ত্যাগের পরীক্ষার ইতিহাসকে ধারণ করেই মুসলিম সমাজে কোরবানি চালু রয়েছে। এর মাধ্যমে সমাজে সৌহার্দ্য, সংহতি এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বন্ধন দৃঢ় হয়। আমরা যদি এই উৎসবের মূল শিক্ষা আত্মস্থ করে মানবিক কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি, তবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য অর্জন সম্ভব হবে। এই প্রচেষ্টায় সবাইকে অবিচল থাকতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ঈদুল আজহা বিশ্ব মুসলিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। উৎসবের সৌন্দর্য হলো — তা সর্বজনীন। এই দিন মানুষ একত্রিত হয়, শুভেচ্ছা বিনিময় করে এবং ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সবার পক্ষে ঈদের আনন্দ সমানভাবে উপভোগ করা কঠিন হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংকটে মানুষ দুর্বিষহ দিন পার করছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা সবচেয়ে করুণ। তাই এই উৎসবের দিনে যেন কেউ অভুক্ত না থাকে, সেদিকে সবার লক্ষ্য রাখা দরকার। ঈদের আনন্দ ও ত্যাগের শিক্ষা সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত