ঢাকা, শনিবার, ৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

নতুন করে বাংলাদেশে ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ

২০২৫ মে ০৩ ১০:২৬:০৫
নতুন করে বাংলাদেশে ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ

ডুয়া ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্ত দিয়ে ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাড়ছে। স্থানীয় সূত্রগুলোর দাবি, প্রতিদিন গড়ে ১০০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এরই মধ্যে বিজিবির এক সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ বেলাল হোসেন অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গিয়ে নাফ নদে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, দৈনিক গড়ে ৩০ থেকে ৪০ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের তথ্য রয়েছে তাদের কাছে।

তিনি জানান, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) নতুন করে অনুপ্রবেশ করা ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। কমিশনার বলেন, এত বড় পরিসরে নতুন আশ্রয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা বাংলাদেশের পক্ষে কঠিন এবং এটি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলবে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ইউএনএইচসিআর মিলে ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করেছে। নতুন আগমনসহ বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয়প্রাপ্ত রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩ লাখে।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, প্রতিদিন রোহিঙ্গারা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছে। সীমান্তে মানবিক সংকট থাকলেও অভ্যন্তরে তাদের উন্নত জীবন নিশ্চিত করা সম্ভব নয় বলেই তাদের নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা চলছে।

রাখাইনে সহিংসতা এবং আরাকান আর্মির নির্যাতন:

রোহিঙ্গারা দাবি করছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির নির্যাতনের কারণে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন। আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত করছে, বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে রাখাইন, ভারত ও নেপাল থেকে আসা জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন করছে।

নাফ নদে জেলে অপহরণ বৃদ্ধি:

আরাকান আর্মির দৌরাত্ম্যের কারণে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। গত ছয় মাসে প্রায় দেড়শ বাংলাদেশি জেলে নাফ নদে মাছ ধরার সময় অপহৃত হয়েছেন। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে টেকনাফের হ্নীলা দমদমিয়ায়, যেখানে চারজন জেলেকে নৌকাসহ অপহরণ করা হয়।

রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ:

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে রাখাইন রাজ্যের ১৭টি শহর বর্তমানে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যুদ্ধের শুরুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা অংশ নিলেও বহু সদস্য আরাকান আর্মির হাতে বন্দী বা নিহত হয়েছেন।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে