ঢাকা, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ; যা বলছেন নেতারা

২০২৫ মে ০২ ১৬:৩৪:৪৯
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ; যা বলছেন নেতারা

ডুয়া ডেস্ক: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

আজ শুক্রবার (০২ মে) দলটির ঢাকা মহানগর ইউনিটের আয়োজনে বিকেল ৩টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিন গেটে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি তাদের বিচারের দাবি জানান। এছাড়াও, দেশে মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করার পরই নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানায় দলটি।

সমাবেশে শহীদ খালিদ সাইফুল্লার পিতা ডা. কামরুল বলেন, “আমার ছেলের বুকে ৭০টা গুলি করা হয়েছিল। একজন মানুষকে মারতে কতগুলো গুলির প্রয়োজন হয়? আমি বলতে চাই খুনি হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।”

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা মশিউর রহমান বলেন, “আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না—এই সিদ্ধান্ত গত ৫ আগস্ট হয়ে গেছে।”

তারা আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ মাঠে নামার চেষ্টা করলে এনসিপি তাদের রাজপথে মোকাবিলা করবে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। এই দাবি আদায়ে এনসিপি মাঠে আছে, থাকবে।”

সমাবেশে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “যে আলোচনা নিয়ে রাজনীতি সামনে আগাচ্ছে, সেটা হলো : সংস্কার, নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের বিচার। এর কোনোটিই একে অন্যের বিরোধী নয়, বরং এ তিনটির মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক রুপান্তর হওয়া সম্ভব। ৫ই আগস্টে বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি রায় দিয়েছে যে, তারা এ দেশে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। ফলে জনগণই আওয়ামী লীগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপায় হচ্ছে, একটি ভোটের মাধ্যমে, অন্যটি রাজপথে তাদের অবস্থান জানান দিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে।”

তিনি আরও বলেন, “একটি গণ অভ্যুত্থান দেশে হয়েছে, সেখানে এ দেশের জনগণ মুজিববাদ ও আওয়ামী লীগকে অস্বীকার করেছে। জনরোষে পড়ে আওয়ামিলীগের নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এরপরে আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না এ আলোচনা আসতে পারে না। তারা রাজনীতির নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছে। এখন তার আইনি বন্দোবস্ত কি হবে, কোন প্রক্রিয়ায় তাদের রাজনীতি থেকে বের করবো। অতএব আওয়ামিলীগের নিবন্ধন বাতিল অতি দ্রুত করা উচিত এবং তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।”

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “সংস্কারের কথা সব রাজনৈতিক দলই বলছে। একটি মৌলিক সংস্কারের জায়গায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যার মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা ও ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে। তা পরিবর্তন না হলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে না।”

নাহিদ ইসলাম বলেন, “নির্বাচন নিয়ে সবসময় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের বাহিরেও রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা প্রয়োজন, রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা অর্জন করা। তা নাহলে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের যে চেষ্টা তা সম্ভব হবে না।”

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে