ঢাকা, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ ভাদ্র ১৪৩২
পারভেজ হ’ত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গ্রেপ্তার
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজিকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তিনি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহিদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “হৃদয় মিয়াজি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি। তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইননানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
পারভেজ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অছাত্র এবং কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এর মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
নিহত পারভেজ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাইচান গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. জসীম উদ্দিন ও পারভীন ইয়াসমিন দম্পতির একমাত্র ছেলে।
গত শনিবার প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে খুন হন পারভেজ। এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ক্যাম্পাসজুড়ে চরম উত্তেজনা ও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজের সঙ্গে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর কথাকাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি মীমাংসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে।
তবে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পরপরই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুলের ওপর একদল যুবক ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রবিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে নিহত জাহিদুলের ভাই হুমায়ুন কবির বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রাইমএশিয়ার শিক্ষার্থী ও বহিরাগত মিলিয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা এবং হামলায় জড়িত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ একাধিক কিশোর গ্যাং সদস্য। হামলাকারীদের সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ জন বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের মধ্যে ১১ জনকে ইতোমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বর্তমানে তারা সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছে।
এদিকে ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে চারজন নিরাপত্তাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে—মাহামুদুল, সোয়েব ও মনির। তাঁরা সবাই ফটকের ভেতরের পাশে দায়িত্বে ছিলেন। তবে চতুর্থ নিরাপত্তাকর্মীর নাম এখনো জানা যায়নি। হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তাকর্মীদের গণমাধ্যম বা অন্য কারও সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘প্রথমে সড়কে পারভেজের সঙ্গে হামলাকারীদের কথা-কাটাকাটির পরই ঘটে হামলার ঘটনা।’
খুব দ্রুততার সঙ্গে এই হামলা ঘটনা ঘটে এবং কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা চলে যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- তিন শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে
- ব্যাংকিং খাতে এমডিদের পদত্যাগের ঢেউ: সুশাসনের সংকট স্পষ্ট