ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২
প্রক্টরিয়াল কমিটির বৈঠক নিয়ে সমালোচনার মুখে শাবিপ্রবি

ডুয়া নিউজ : প্রক্টরিয়াল নীতিমালা প্রণয়নসংক্রান্ত একটি বৈঠকে অংশীজনদের আমন্ত্রণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রশাসন। তবে কর্তৃপক্ষ এটিকে উন্মুক্ত আলোচনা সভা দাবি করে যেকোনো শিক্ষার্থী বা প্রতিনিধিকে আসার নিমন্ত্রণ জানিয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুররে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বৈঠকের বিষয়টি উল্লেখ করে দপ্তরপ্রধান, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, একটি ফেসবুক পেজের প্রতিনিধিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ জন অংশীজনের কাছে এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে চিঠিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। মুহূর্তেই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা–সমালোচনা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, চিঠিতে উল্লেখিত অংশীজনের কেউ কেউ দাওয়াতও পাননি, অথচ অংশীজন হিসেবে সংগঠনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া শাবিপ্রবিকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে হাস্যরসাত্মক ও ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও ক্লিপ বানানো ফেসবুক পেজের প্রতিনিধি, ছাত্রী হলের প্রতিনিধি থাকতে বলা হলেও ছাত্র হলের কোনো প্রতিনিধি না ডাকা, দলীয় ব্যানারে রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রাজনৈতিক সংগঠনকে ডাকা, একটি হলের প্রাধ্যক্ষকে দাওয়াত না দেওয়া, সাধারণ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিয়ে ধোঁয়াশা, অপ্রকাশিত একটি সংগঠনকে দাওয়াত দেওয়াসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে প্রক্টর মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘প্রক্টরীয় নীতিমালাসংক্রান্ত বৈঠকটির পদ্ধতিগত দিকে সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য সৎ। যেকোনো শিক্ষার্থী আমাদের বৈঠকে আসতে পারে। আমরা মূলত প্রক্টরীয় কমিটির বর্তমান নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করব। এ বিষয়ে একটি উন্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।’
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি চিঠিতে দেখা যায়, চিঠিটি মঙ্গলবার বিতরণের জন্য ইস্যু করা হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন প্রক্টরিয়াল কমিটির সদস্যসচিব ও প্রক্টর মোখলেসুর রহমান। ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, পাঁচজন হল প্রাধ্যক্ষ, দুজন সহকারী প্রক্টর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন (একসঙ্গে), তিনটি ছাত্রী হল, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দুজন করে প্রতিনিধিকে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া তাবলিগ, বাম ছাত্রসংগঠন, সনাতনী বিদ্যার্থী সংসদ, শাবিপ্রবি প্রেসক্লাব, অপ্রকাশিত একটি সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব সোসিয়েশন্স’ ও ‘সাস্ট ইনসাইডারর্স’ নামক একটি ফেসবুকভিত্তিক পেজের একজন প্রতিনিধিকে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী।
এস/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির
- শেয়ারবাজারে হাজার কোটির ক্লাবে ব্যাংকবহির্ভূত ৬ কোম্পানি