ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২
বিআরটিএ চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি

ডুয়া ডেস্ক : যাত্রী কল্যাণ সমিতি অভিযোগ করেছে , সরকারের পুরোনো ও ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় বাসগুলো উচ্ছেদের কঠোর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রক্ষার চেষ্টা করতে গিয়ে রাতারাতি গোলাপি রঙে রঙিন হয়ে চালানো হচ্ছে। এতে করে নগরজুড়ে প্রতিদিন গণপরিবহন সংকট সৃষ্টি হচ্ছে, যা ভয়াবহ যাত্রী দুর্ভোগ তৈরি করছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটি নগরজুড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধে ভয়াবহ যাত্রী দুর্ভোগ তৈরির জন্য বিআরটিএকে দায়ী করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এসব অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকার বিশৃঙ্খল গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, লক্কড়-ঝক্কড় বাস উচ্ছেদ করে মানসম্মত উন্নত গণপরিবহন নামাতে অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। গত ১৯ ডিসেম্বর সরকারের চার উপদেষ্টা, পুলিশ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএসহ শীর্ষ স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ঢাকা মহানগরীর ২০ বছরের পুরোনো বাস মে মাসের মধ্যে উচ্ছেদ করার নির্দেশনা দেন।
আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকার সব রুট বিলুপ্ত করে ৯টি রুটে ৯ কালারের উন্নত বাস পরিষেবা চালুর নির্দেশনা দেন জানিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, এমন নির্দেশনার অপব্যবহার করে নতুন উন্নত বাসের বদলে ২০ থেকে ৪০ বছর যাবত নগরীতে চলাচলরত মেয়াদোত্তীর্ণ লক্কড়-ঝক্কড় ফিটনেসবিহীন বাস রাতারাতি গোলাপি কালার ধারণ করে চালানোর উদ্যোগ নেয় মালিকরা।
এসব বাসে ইতোমধ্যে মুখ থুবড়ে পড়া ই-টিকিটিং পদ্ধতিতে বাস কাউন্টারে ভাড়ার টাকা আদায় করে চালক-সহকারীর দৈনিক হারে ট্রিপ ভিত্তিক মজুরি নির্ধারণ ও সাপ্তাহিক, পাক্ষিক হারে মালিকের জমা বাস মালিক সমিতি কর্তৃক প্রদানের সিদ্ধান্ত হয় বলে পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, যোগ করেন তিনি।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এতে দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক চুক্তিতে চলা বাসগুলোর মালিকদের সমিতি থেকে সঠিক হিসাবে তাদের বাসগুলোর জমা টাকা পাওয়া নিয়ে বিশ্বাস-অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে চুক্তিতে চলা বাসের আয় থেকে কম মজুরি নির্ধারণ করায় চালক ও সহকারীর মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এতে করে প্রান্তিক বিভিন্ন বাসের মালিক ও চালক-সহকারীরা তাদের কিছু কিছু বাস বন্ধ রেখেছে।
তিনি জানান, বাসের ভাড়া নির্ধারণের শর্ত লঙ্ঘন করে এমন অব্যবস্থাপনায় গণপরিবহন সংকটে ভয়াবহ যাত্রী দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে নগরজুড়ে। এতে ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়ছেন নিয়মিত অফিসগামী যাত্রীরা। এমন সংকট নিরসনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ, ট্রাফিক বিভাগ ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। সংকট নিরসনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
এসময় রোববার নগরজুড়ে সড়ক অবরোধ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের তাণ্ডবলীলায় ভয়াবহ যাত্রী দুর্ভোগ তৈরির জন্য বিআরটিএকে দায়ী করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
জনগণের অর্থে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রজ্ঞাপন বাতিল করে অসহায় যাত্রীদের ভাড়া নৈরাজ্যকারী অটোরিকশা চালকদের হাতে তুলে দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি বিলুপ্তির দাবি জানান তিনি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- টানা পতনেও শেয়ারবাজারে পুনরুজ্জীবনের সংকেত
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- চলতি সপ্তাহে ৬ কোম্পানির ডিভিডেন্ড অনুমোদন