‘যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কোনো মূল্যে নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচন ও গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সময়সূচির আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

এই লক্ষ্যে গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আজ সোমবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৈঠকের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ছাড়াও পুলিশ, র‍্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন, আসন্ন বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন ঘিরে নেওয়া নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পাশাপাশি সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় করণীয় বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হয়।

এছাড়াও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই যোদ্ধা শহিদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের তদন্ত অগ্রগতি এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি দুটি জাতীয় দৈনিক ও দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ৩১ জন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্তত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. কাশেম ফারুকি, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, মো. সোহেল রানা এবং মো. শফিকুল ইসলাম। শনাক্ত হওয়া অন্য সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের আশপাশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলেও বৈঠকে জানানো হয়।

বৈঠকের শেষদিকে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দেন, ওসমান হাদি হত্যাসহ সব ধরনের সহিংসতা ও বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে এবং তদন্ত কার্যক্রমে কোনো শৈথিল্য চলবে না।

ইএইচপি