ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

আজ সন্ধ্যায় ঘোষণা হচ্ছে নির্বাচনের তফসিল

২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১১:৫৩:০০

আজ সন্ধ্যায় ঘোষণা হচ্ছে নির্বাচনের তফসিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রকাশের আনুষ্ঠানিকতা আজ সন্ধ্যায় সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনারের রেকর্ডকৃত ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবং বাংলাদেশ বেতারে একই সময়ে সম্প্রচার করা হবে।

ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, সিইসির ভাষণটি বুধবারই রেকর্ড করা হয়েছে এবং আজ সন্ধ্যা ৬টায় প্রচারিত হবে। কমিশনের সূত্র মতে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে ১২ ফেব্রুয়ারিকে সবচেয়ে উপযোগী দিন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে বিকল্প দিনেও ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এদিকে বাগেরহাট ও গাজীপুরের আসনসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, রায় এখনও কমিশনের হাতে এসে পৌঁছায়নি। তাই আপাতত গেজেটেড ৩০০ আসনেই তফসিল ঘোষণা করা হবে। রায় হাতে পাওয়ার পর কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে।

গতকাল বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বিটিভি ও বেতারের জন্য তফসিল ঘোষণার ভাষণ রেকর্ড করেন। পরে অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে তিনি এক বৈঠকে অংশ নেন।

ইসির এক কর্মকর্তা জানান, কমিশন ভোটগ্রহণের পর রমজানের আগে অন্তত এক সপ্তাহ সময় হাতে রাখতে চায়। কারণ ভোটের দিন কোনো কেন্দ্রে স্থগিতকরণ বা পুনঃভোটের প্রয়োজন হলে ওই সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ ও নতুন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণও যেন রমজানের আগে সুষ্ঠুভাবে করা যায়, সে ব্যবস্থাও বিবেচনায় রয়েছে।

আগামী বছর রমজান মাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ১৮ বা ১৯ ফেব্রুয়ারি। ফলে নির্বাচন কমিশন যদি প্রয়োজনীয় সময় রাখতে চায়, তাহলে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ভোটগ্রহণ করতে হবে। শবে বরাতের সম্ভাব্য তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি হওয়ায় এর আগে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই শবে বরাতের পর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই ভোট হওয়া প্রায় নিশ্চিত।

দেশে এখন পর্যন্ত ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ছয়বার, বিএনপি চারবার এবং জাতীয় পার্টি দুইবার সরকার গঠন করেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ ও দ্বাদশ সংসদ মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। তবে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম ও একাদশ সংসদ পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছে।

বিগত নির্বাচনের ভোটের হার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সর্বোচ্চ ভোট পড়েছিল ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে মোট ৮৭ শতাংশ। বিপরীতে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল মাত্র ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত