ঢাকা, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ভূমিকম্পের পর রাবির শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থীদের স্থানান্তরের ঘোষণা

২০২৫ নভেম্বর ২১ ২১:২১:৫২

ভূমিকম্পের পর রাবির শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থীদের স্থানান্তরের ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ সকালে সংঘটিত ভূমিকম্পে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শেরে বাংলা ফজলুল হক হলের দেয়ালে নতুন করে ফাটল দেখা দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে এবং হল পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরবর্তীতে রাকসু প্রতিনিধি, হলের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক জরুরি মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের নবনির্মিত হলে (সাকিব-রায়হান) স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত এই জরুরি মিটিংয়ের পর জানানো হয়, আগামীকাল থেকে শিক্ষার্থীরা নতুন হলে উঠতে পারবেন।

শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাঈম এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, "আমরা অনেকদিন ধরেই দাবি করে আসছি আমাদের এই হলটি সংস্কার অথবা আমাদেরকে অন্য হলে স্থানান্তরের জন্য। আজ ভূমিকম্পের পর আমরা সবাই বাইরে বের হয়ে আসি এবং সকাল থেকেই বিক্ষোভ করছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের নতুন হলে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত এসেছে, এতে আমরা খুবই খুশি।"

রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ জানান, গত কয়েক মাস ধরে এই হলের শিক্ষার্থীরা স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তিনি বলেন, "আলহামদুলিল্লাহ, আমরা আজ সেই দাবিটি আদায় করতে পেরেছি। জুমার নামাজের পর প্রশাসনের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেছিলাম। তারা নতুন হল প্রদর্শন করে আমাদের জানিয়েছে যে শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থীদের স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আজকেই হলে উঠতে পারবে।"

শেরে বাংলা ফজলুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন, হলটি নিঃসন্দেহে ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বলেন, "এই অবস্থায় ছাত্ররা বা আমরা কেউ নিরাপদ নই। ছাত্রদের পরীক্ষা ও টিউটোরিয়াল চলছে, তাই হুট করে হল বন্ধ করে দেওয়া বা তাদের বাড়ি পাঠানো সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসন যৌথভাবে বসে ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকে রাতের মধ্যে আমরা অ্যালটমেন্ট দিয়ে দেব। শিক্ষার্থীরা আগামীকাল থেকে উঠতে পারবে এবং কেউ যদি চায় সে অন্য কোথাও থাকতে পারবে।"

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, "নতুন হলটি এখনো সম্পূর্ণ প্রস্তুত না হলেও, যারা খুব বেশি ঝুঁকিতে আছেন এবং হল পরিবর্তনের প্রয়োজন অনুভব করছেন, তাদের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। হল প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন হলে যেতে পারবে।"

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

বিশ্ববিদ্যালয় এর অন্যান্য সংবাদ