ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

কি হবে হাসিনার মামলার পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ?

২০২৫ নভেম্বর ১৭ ২৩:৩৯:৩৫

কি হবে হাসিনার মামলার পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ?

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করেছে। চার মাস সাত দিনের বিচার প্রক্রিয়া শেষে আজ সোমবার দেওয়া রায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। তবে আইনি যাত্রা এখানেই শেষ নয় রায়ের পরও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পরবর্তী ধাপ।

আইন অনুসারে, এখন আসছে আপিল প্রক্রিয়া।

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ অনুযায়ী, দণ্ডপ্রাপ্ত যে কেউ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করতে পারেন। রাষ্ট্র বা অভিযোগকারী পক্ষও চাইলে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দাখিল করতে পারে। তবে পলাতক আসামিকে আগে আত্মসমর্পণ করতে হবে, তারপরই তার পক্ষে আইনজীবী আপিল করার সুযোগ পাবেন।

আত্মসমর্পণ বা গ্রেপ্তারের পর আসামিপক্ষ বিচার প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য ত্রুটি, অসংগতি অথবা প্রমাণ মূল্যায়নে ভুলের দিকগুলো তুলে ধরে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ পাবে। রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয় এবং বিধান অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করার কথা।

আপিলের পর রয়েছে রিভিউ বা পুনর্বিবেচনা আবেদন যা বিচার প্রক্রিয়ার সর্বশেষ আইনি ধাপ। এখানে আসামি আপিল রায়ের ব্যাখ্যা বা আইনি ত্রুটি চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। অতীতে রিভিউতে দণ্ড পরিবর্তন কিংবা খালাসের উদাহরণও রয়েছে।

এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা চাইলে রাষ্ট্রপতির নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতিকে দণ্ড কমানো, স্থগিত রাখা বা মওকুফ করার ক্ষমতা দিয়েছে।

রায়ের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনা ও কামালের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো, বিশেষ করে এনবিআর, এই আদেশ বাস্তবায়ন করবে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত