ঢাকা, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

নতুন নিয়ম

সার্টিফিকেটে নাম-অন্যান্য ভুল সংশোধন এখন ঘরে বসেই

২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৮:৪৪:৫৭

সার্টিফিকেটে নাম-অন্যান্য ভুল সংশোধন এখন ঘরে বসেই

সরকার ফারবী: বাংলাদেশে শিক্ষাবোর্ডের সকল সনদে নাম, পিতার নাম, মাতার নাম বা জন্মতারিখে ভুল ধরা পড়া এখন একটি সাধারণ সমস্যা। তবে এখন আর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শিক্ষাবোর্ডগুলোর আধুনিক অনলাইন ব্যবস্থা ব্যবহার করে ঘরে বসে সহজেই এই ভুলগুলো সংশোধন করা সম্ভব।

অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া

প্রথমে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ:

ঢাকা বোর্ড: dhakaeducationboard.gov.bd

চট্টগ্রাম বোর্ড: bise-ctg.gov.bd

রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও কুমিল্লা বোর্ড: গুগলে বোর্ডের নাম সার্চ করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ

ওয়েবসাইটে ঢুকার পর “অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন” মেনুতে ক্লিক করে “নাম ও বয়স সংশোধনের আবেদন” অপশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লগইন তথ্য ব্যবহার করে লগইন করতে হবে। লগইন করতে EIIN নম্বর ও পাসওয়ার্ড প্রয়োজন, যা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করতে হবে।

ফর্ম পূরণ ও প্রয়োজনীয় তথ্য

অনলাইন ফর্মে পরীক্ষার ধরন (JSC, SSC, HSC), পাশের বছর, রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও সংশোধন চাওয়া তথ্য উল্লেখ করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ হলো, নাম ও জন্মতারিখ একসাথে সংশোধন করা যাবে না; আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে।

ফর্ম পূরণের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পিডিএফ আকারে আপলোড করতে হবে। এর মধ্যে থাকতে পারে:

জন্ম নিবন্ধন সনদ

পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র

পূর্বের শিক্ষাগত সনদ

নোটারি পাবলিকের এফিডেভিট

পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের পিডিএফ কপি

অনলাইনে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও ফি প্রদান

সংশোধনের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্রক্রিয়াও অনলাইনে সম্পন্ন করা সম্ভব। ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন তৈরি করে পত্রিকা নির্বাচন এবং সংশোধন তথ্য প্রদান করতে হবে। পেমেন্ট সম্পন্ন হলে বিজ্ঞাপন সাবমিট হয়ে PDF কপি ইমেইলে পাওয়া যাবে।

সার্টিফিকেট সংশোধনের ফি সোনালী স্লিপ সিস্টেমের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। ফর্ম পূরণের পর “সোনালী স্লিপ” অপশন থেকে পে-স্লিপ ডাউনলোড করে অনলাইনে বা ব্যাংকে অর্থ জমা দিতে হবে।

যাচাই, ভাইভার প্রক্রিয়া ও নতুন সনদ গ্রহণ

আবেদন জমা দেওয়ার পর বোর্ড কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট যাচাই করবে। প্রয়োজনে আবেদনকারীকে ভাইভার জন্য কল বা SMS পাঠানো হতে পারে। ভাইবার সময় সকল মূল কপি সঙ্গে রাখতে হবে। সাধারণত দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সংশোধন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

যদি আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়, বোর্ড নির্দিষ্ট একটি তারিখ নির্ধারণ করবে। সেই দিনে পুরনো সার্টিফিকেট জমা দিয়ে নতুন সংশোধিত সনদ সংগ্রহ করা যাবে।

বাংলাদেশের শিক্ষাবোর্ডের এই আধুনিক অনলাইন ব্যবস্থা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য সময় ও শ্রম বাঁচাতে অত্যন্ত কার্যকর।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

জাতীয় এর অন্যান্য সংবাদ