ঢাকা, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২

জেনে নিন কোরআন অনুযায়ী ব্যর্থতার চার রূপ

২০২৫ অক্টোবর ৩১ ১০:৩৯:০৪

জেনে নিন কোরআন অনুযায়ী ব্যর্থতার চার রূপ

ডুয়া ডেস্ক: কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী ব্যর্থতা হলো এমন এক অবস্থা, যা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে বিফল হওয়া, প্রত্যাশিত সাফল্য না পাওয়া এবং আশার ভঙ্গের সঙ্গে যুক্ত। পবিত্র কোরআনে ‘খাবা’ (خاب) এবং ‘খায়বাহ’ (خيبة) শব্দের মাধ্যমে এই ব্যর্থতার গভীর তাৎপর্য বোঝানো হয়েছে। খায়বাহ মানুষের মনে দুঃখ, হতাশা, আফসোস ও অসহায়ত্বের ছায়া ফেলে। কোরআন অনুসারে ব্যর্থতা আসে তখনই যখন আশা ভেঙে যায়, আর এটি জুলুম, মিথ্যা, অত্যাচার ও আত্মকলুষিত হওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত।

কোরআনে চার শ্রেণির মানুষকে ব্যর্থ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে:

জালিমরা (الظالمون)

সুরা ত্বাহা আয়াত ১১১ অনুযায়ী, “আর যে জুলুম বহন করেছে সে ব্যর্থ হয়েছে।” ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, আল্লাহর সাথে শিরক করা জুলুমের সর্বোচ্চ রূপ। শিরকের মধ্যে প্রকাশ্য কুফর, গোপন শিরক ও ছোট শিরক (রিয়া) অন্তর্ভুক্ত।

অত্যাচারী একগুঁয়েরা (الجبابرة العنيدون)

সুরা ইবরাহীম আয়াত ১৫: “আর তারা ফায়সালা চাইল, এবং প্রতিটি অত্যাচারী একগুঁয়ে ব্যর্থ হলো।” যারা অন্যকে তার ইচ্ছার প্রতি বাধ্য করে বা সত্য থেকে দূরে থাকে, তারা একগুঁয়ে।

মিথ্যারোপকারীরা (المفترون)

সুরা ত্বাহা আয়াত ৬১: “আর যে মিথ্যারোপ করেছে সে ব্যর্থ হয়েছে।” মিথ্যারোপের অর্থ হলো ভিত্তিহীন বা অন্যের প্রতি মিথ্যা বলা।

আত্মকে কলুষিতকারীরা (من دسّى نفسه)

সুরা শামস আয়াত ১০: “আর যে তাকে কলুষিত করেছে সে ব্যর্থ হয়েছে।” এটি সেই ব্যক্তির জন্য, যে নিজেকে ধ্বংস করেছে বা পাপের পথে পরিচালিত হয়েছে।

ব্যর্থদের পরিণতি: যারা এই চারটি ব্যর্থতার মধ্যে পড়ে, তাদের মুক্তি একমাত্র আন্তরিক তাওবা ও সংশোধনের মাধ্যমে সম্ভব। অন্যথায় তারা হবে দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, অথচ তা বুঝতেও সক্ষম হবে না। সুরা কাহাফ আয়াত ১০৪ অনুযায়ী, “যাদের দুনিয়ার জীবনে সকল প্রচেষ্টা বিপথগামী হয়েছে, অথচ তারা মনে করছে সুন্দর কাজ করছে।”

মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বুঝদারির সাথে এই ব্যর্থতার তালিকা থেকে বাঁচার তাওফিক দিন। আমীন।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত