ঢাকা, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

সরকারি চাকরিজীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ

২০২৫ অক্টোবর ২০ ১২:৪৩:৫৪

সরকারি চাকরিজীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর প্রস্তাব অর্থ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) পে-কমিশনে জমা দিয়েছে। প্রস্তাবটি পেশের পর আজ সমিতির নেতাদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

প্রস্তাবে ‘সাকুল্য বেতন’ বা বিকল্প পারিশ্রমিক কাঠামোর কথা বলা হয়েছে, যেখানে বিদ্যমান বেতন কাঠামোর ভাতাসহ অন্যান্য আর্থিক ও অার্থিক সুবিধা থাকবে না। প্রস্তাবিত নতুন কাঠামো অনুযায়ী সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সমিতি জানিয়েছে, এটি এমন একটি কাঠামো যা ইতোমধ্যেই উন্নত ও উন্নয়নশীল অনেক দেশে কার্যকর।

প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রদত্ত সম্মানি বা ভাতা নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং প্রতিবছর প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। তাই এই সুবিধা বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, পে-কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে যে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হবে তা সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে। তিনি আরও বলেন, “পে-কমিশনের গেজেট প্রকাশের ওপর এই প্রস্তাব কার্যকর হওয়ার নির্ভরশীলতা রয়েছে। তবে আগামী বছরের শুরুতেই এটি প্রবর্তিত হতে পারে।”

প্রস্তাবে দুই ধরনের বেতন কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে এক, বিদ্যমান কাঠামো বহাল রেখে নতুন সুবিধা সংযোজন; দুই, বিদ্যমান কাঠামো বাতিল করে বিকল্প সাকুল্য বেতন প্রবর্তন। এছাড়া সচিবালয়ে নিয়োজিত সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘সচিবালয় ভাতা’ এবং ‘রেশন সুবিধা’ চালুর কথাও বলা হয়েছে।

নতুন কাঠামোতে টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বিশেষ ইনক্রিমেন্টসহ অন্যান্য সুবিধা পুনর্বহাল বা ৪টি উচ্চতর গ্রেড প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যমান অপ্রয়োজনীয় বা কম ব্যবহৃত গ্রেড বাদ দিয়ে মোট ১২টি গ্রেড নির্ধারণের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের সাথে অন্যান্য গ্রেডের বেতনও সমন্বয় করা হয়েছে।

প্রস্তাবে কর্মচারীদের টিফিন, যাতায়াত ভাতা, শিক্ষা ও চিকিৎসা ভাতা, নববর্ষ ভাতা, স্বাস্থ্যবিমা, পেনশনসহ অতিরিক্ত কাজের জন্য পারিশ্রমিক প্রদানের সুপারিশও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি ও সুবিধা উন্নয়নের জন্য পে-কমিশন গঠন করেছে। কমিশন ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করবে। এর আগে সর্বশেষ পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৫ সালে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত