ঢাকা, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

র‍্যাগিংয়ের কড়া জবাব: জাবি'র ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

২০২৫ অক্টোবর ১৩ ২০:২৮:১০

র‍্যাগিংয়ের কড়া জবাব: জাবি'র ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২১ নং ছাত্র হলের একটি কক্ষে (পূর্বের নাম শেখ রাসেল হল) বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ৫৪ ব্যাচের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের) শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে ১৬ জন সিনিয়র শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্ধকারে দাঁড় করিয়ে জুনিয়রদের ভয় দেখানোর এই গুরুতর ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার (১২ অক্টোবর, ২০২৫) রাতে।

আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারাদেশের এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের নির্দেশক্রমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রণীত শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮-এর ধারা ৪-এর (১) (খ) অনুযায়ী অভিযুক্ত ১৬ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

সাময়িক বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. তানভীর রহমান মুন, মো. আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ, আব্দুল্লাহ আল সাঈদ, মো. আবু তালহা রনি, রাজিব শেখ, এস. এম. মাহামুদুন্নবী, মো. আবু সাইদ, জান্নাতুল আদন, আহম্মেদ আরেফিন রাতুল, তাসনিমুল হাসান জুবায়ের, মো. মাহামুদুল হাসান ফুয়াদ, মো. আল হাসিব, মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. রাকিবুল হাসান নিবির, মো. জাহিদুল ইসলাম এবং উশান্ত ত্রিপুরা।

জানা যায়, গতকাল রবিবার বিভাগটির ৫৩তম ব্যাচের (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের) শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ২১ নং হলের ৪০৩ নং রুমে জুনিয়রদের র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠে। ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রথমে রফিক-জব্বার চত্বরে ডাকা হয়, পরে ২১ নং হলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে যেতে বলা হয়।

ভুক্তভোগী এক নবীন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা সবাই ভয় পেয়েছিলাম। কক্ষের দরজা বন্ধ করে, আলো নিভিয়ে, সবাইকে সেনাবাহিনীর ট্রেনিংয়ের মতো দুই সারিতে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট অন্ধকার রুমে দাঁড় করিয়ে রাখার পর হঠাৎ কয়েকজন বড় ভাই রুমে ঢুকে লাইট অন করেন এবং বিভিন্ন নিয়ম-কানুন ও শৃঙ্খলা সম্পর্কিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন।

এদিকে, অভিযোগ তদন্তের জন্য মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামানকে সভাপতি করে একটি ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির অপর সদস্যরা হলেন সহকারী প্রক্টর ড. মো. আল-আমিন খান এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চ শিক্ষা ও বৃত্তি) লুৎফর রহমান আরিফ (সদস্য-সচিব)। কমিটিকে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত