ঢাকা, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

২৩৭ কোটির কর ৩৮ লাখ টাকা ঘুষে সমঝোতা, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১০:১২:৫৫

২৩৭ কোটির কর ৩৮ লাখ টাকা ঘুষে সমঝোতা, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক: এনবিআরের কর অঞ্চল-৫-এর বরখাস্তকৃত সহকারী কর কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস মিতুর সঙ্গে কোটি টাকার ঘুষ চুক্তির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ওই চুক্তির মাধ্যমে ১২ কর বর্ষের আয়কর ফাইল সাজিয়ে বিপুল অঙ্কের করফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।

দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসএ গ্রুপের কর্ণধার ও এসএ পরিবহনের মালিক সালাহ উদ্দিন আহমেদ তার ১২ কর বর্ষের ২৩৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার আয়ের অংশে করফাঁকি দিতে চেয়ে মিতুর সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। এই চুক্তির অংশ হিসেবে সালাহ উদ্দিনের আইনজীবী ওবায়দুল হক সরকার ৩৮ লাখ টাকার ঘুষ মিতুকে প্রদান করেন, যার বিনিময়ে মিতু ১২ বর্ষের আয়কর রিটার্নসহ স্পর্শকাতর নথি ওবায়দুলের হাতে তুলে দেন।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার কর অঞ্চল-৫-এ দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালায়। তদন্তে প্রাথমিকভাবে ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়। দুদকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে আয়কর নথি বিধিবহির্ভূতভাবে সম্পাদিত হওয়ার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রাথমিক যাচাইয়ে অভিযোগের সত্যতা প্রতীয়মান হয়েছে এবং রেকর্ডপত্র বিশদভাবে পর্যালোচনা করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

এনবিআরের সূত্রে জানা গেছে, মিতুর সঙ্গে ১ কোটি টাকার চুক্তি ছিল। ঘুষের বিনিময়ে ১২ বর্ষের কর ফাইল সাজিয়ে ২৩৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা করমুক্ত সেবা খাতে যোগ করা হয়েছিল। সালাহ উদ্দিন ইতিমধ্যেই করফাঁকি ও আদালতের পথ দিয়ে সুবিধা পাননি। এরপর আইনজীবীর পরিকল্পনায় সার্কেল কর্মকর্তার সঙ্গে চুক্তি করে সুবিধা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ১ সেপ্টেম্বর জান্নাতুল ফেরদৌস মিতুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া করদাতা সালাহ উদ্দিন ও আইনজীবী ওবায়দুল হক সরকারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

এমজে

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত