ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২

পাহাড়ে ও গার্মেন্টস সেক্টরে হঠাৎ অশান্তির লক্ষণ উদ্বেগজনক: রিজভী

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৯:১৯:৩৮

পাহাড়ে ও গার্মেন্টস সেক্টরে হঠাৎ অশান্তির লক্ষণ উদ্বেগজনক: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পাহাড়ি অঞ্চলে এবং গার্মেন্টস সেক্টরে হঠাৎ করে অশান্তির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যা জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার জন্ম দিচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী জোর দিয়ে বলেন, "এসব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে কোনো না কোনো চক্র জড়িত রয়েছে। সেজন্য আমাদের প্রত্যেককেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশবিরোধী যদি কোনো চক্রান্ত বা মাস্টারপ্ল্যান থেকে থাকে, তাহলে আমাদের সবাইকে তা ব্যর্থ করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে হবে।"

বিএনপির এই নেতা জামায়াতের এক নেতার সাম্প্রতিক বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, "জামায়াতের এক নেতার বক্তব্যে মানুষকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলছে, তিনি বললেন— পার্শ্ববর্তী দেশ আমাদের আক্রমণ করতে পারে, যুদ্ধ হতে পারে— এই কথাগুলো কেন আসছে? এটা কি কোনো পাতানো বিষয়?" রিজভী মনে করিয়ে দেন যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি অনেক অমীমাংসিত বিষয় আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যদিয়ে সমাধান করা যেতে পারে। কিন্তু আক্রমণের আশঙ্কা কেন ছড়ানো হচ্ছে, তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন এবং বিষয়টি পরিকল্পিত কিনা তা ভাবাচ্ছে উল্লেখ করেন। তিনি এই ধরনের বক্তব্যকে দেশের জন্য বিপজ্জনক ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ববিরোধী বলে আখ্যায়িত করেন।

রিজভী আরও বলেন, "আমরা একসময় একটি ফ্যাসিবাদের পতন দেখেছি। কিন্তু আজ আবারও নতুন করে মাটির ভেতর থেকে, পাতাল থেকে, আরেকটি ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে কি না— সেটি আজ মানুষের মনে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু কর্মকাণ্ড সে আশঙ্কাকে উসকে দিচ্ছে। ‘জামায়াত নেতার ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার’ কথার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। বড় ধরনের কোনো গেম প্ল্যান কিনা, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে। জামায়াত একটি ভয়ংকর নীল নকশার মধ্যে রয়েছে। এটি রাষ্ট্রবিরোধী কথা। এতে দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার ইঙ্গিত রয়েছে।"

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সপ্তমী প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, এই উৎসব অত্যন্ত আনন্দ, উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। তিনি চান, উৎসবটি যেন কোনো ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্ন ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। এজন্য তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি জানান, প্রায় ৩৫ হাজার পূজামণ্ডপে বিএনপির নেতাকর্মীরা নজরদারি করছে এবং নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিদিন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছেন এবং পূজা নির্বিঘ্নে পালনের বিষয়ে বারবার নির্দেশ দিচ্ছেন।

রিজভী সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আপনারা হিন্দু সম্প্রদায়ের এই উৎসবগুলোতে সতর্কতার সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করুন। কেউ যাতে উসকানিমূলক কিছু করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।"

এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তর সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত