ঢাকা, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২

“জুলাই হত্যাকাণ্ডে হাসিনার সম্পৃক্ততা ছিল না”

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৬:১৭:২০

“জুলাই হত্যাকাণ্ডে হাসিনার সম্পৃক্ততা ছিল না”

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনকে সরকার উৎখাতের জন্য দীর্ঘদিনের নীলনকশার অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তার দাবি, আন্দোলনকারীরা নিজেরাই ষড়যন্ত্র করে লোকজনকে টার্গেট করে হত্যা করেছেন এবং পরবর্তীতে দায় সরকারের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদের সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এ দাবি করেন তিনি। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৪৮তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন জুনায়েদ।

জেরার একপর্যায়ে আইনজীবী আমির হোসেন দাবি করেন, শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার সমাধানে আন্তরিক ছিলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে একের পর এক বেআইনি কর্মসূচি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী কখনও আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে রাজাকারের বাচ্চা বা নাতিপুতি বলেননি; বরং আন্দোলনকারীরাই তার বক্তব্য ভুলভাবে প্রচার করেছেন।

এ সময় সাক্ষী জুনায়েদ পাল্টা জবাব দেন যে, সরকারের কোনো আন্তরিকতা ছিল না, বরং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে আন্দোলন দমনই ছিল সরকারের উদ্দেশ্য।

স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে পরিকল্পিতভাবে অল্পসংখ্যক আন্দোলনকারীকে হত্যা করা হয়েছিল। নইলে এত বিশাল আন্দোলনে এত অল্পসংখ্যক মৃত্যু হওয়া সম্ভব নয়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন সাক্ষী জুনায়েদ।

তিনি আরও যুক্তি দেন, ফেসবুক প্রোফাইল লাল করা এবং অন্যান্য কর্মসূচি ছিল আন্দোলনকারীদের ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ। অন্যদিকে, সাক্ষী জুনায়েদ বলেন, এসব কর্মসূচি ছিল ন্যায্য দাবির প্রতিফলন, ষড়যন্ত্রের অংশ নয়।

সবশেষে শেখ হাসিনা ও কামালকে নির্দোষ দাবি করে আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, জুলাইয়ের ঘটনাবলীর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত