ঢাকা, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২

রাকসু নির্বাচন কবে, জানালেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৭:৩৭:৫৭

রাকসু নির্বাচন কবে, জানালেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন নির্ধারিত তারিখ, ২৫ সেপ্টেম্বরই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নির্বাচনী কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটাবে না।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক সেতাউর রহমান বলেন, "গতকালকের ঘটনায় আমাদের নির্বাচনী কোনো কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে বলে আমরা মনে করছি না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা সকল ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। রাকসু যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের একটা প্রত্যাশা, তাই আমরা সকল পক্ষের সহযোগিতা চাই। উপাচার্য স্যারও আমাদের সকল ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে নির্দেশনা দিয়েছেন। ২৫ তারিখেই রাকসু নির্বাচন হবে। আমাদের নির্বাচনী সকল কার্যক্রম চলমান।"

শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির ঘোষণার প্রেক্ষিতে দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে তিনি জানান, শিক্ষক-কর্মকর্তা প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন যে গতকালের ঘটনার ভিত্তিতেই আজকের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে এবং সকল জরুরি সেবা এই আন্দোলনের আওতামুক্ত। যেহেতু রাকসু নির্বাচন ২৫ তারিখে, তাই এটিকে একটি জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করে সকল কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।

তবে, নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডাকা পূর্ণদিবস কর্মসূচির কারণে নির্বাচনী প্রচারণায় উৎসবমুখর আমেজ অনেকটাই ম্লান। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রার্থীরা সীমিত পরিসরে প্রচারণা চালালেও ক্যাম্পাসে ভোটারদের উপস্থিতি নগণ্য।

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল 'ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম'র ভিপি পদপ্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবির বলেন, "পোষ্য কোটা একটি মীমাংসিত ইস্যু হওয়া সত্ত্বেও আবার ফিরে এসেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত পোষ্য কোটাকে বিলুপ্ত না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। এই ইস্যুকে ঘিরে ক্যাম্পাসে আমাদের প্রচার-প্রচারণাও সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে। তবে আগামী ২৫ তারিখে যে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, তা অবশ্যই নির্ধারিত তারিখেই অনুষ্ঠিত হতে হবে।"

ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল 'সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট' -এর জিএস প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা বলেন, "আজকে আমাদের কোনো প্রচার-প্রচারণা হয়নি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি। সবকিছু স্বাভাবিক হলে আমরা আমাদের সকল কার্যক্রম আবার চালাবো।"

উল্লেখ্য, পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে গত শুক্রবার কয়েকজন শিক্ষার্থী অনশনে বসেন, যাদের মধ্যে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। শনিবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীনকে প্রশাসনিক ভবন থেকে ধাওয়া করে জুবেরী ভবনে নিয়ে যান, যেখানে উপ-উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তা অবরুদ্ধ হন এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে উপ-উপাচার্যসহ কয়েকজন আহত হন এবং জুবেরী ভবনের কয়েকটি জানালা ভাঙচুর হয়। পরে রাত ১০টার দিকে শিক্ষক-কর্মকর্তারা পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাত ১টার দিকে প্রশাসন পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে এবং রবিবার বিকেল ৩টায় সিন্ডিকেট মিটিং ডাকা হয়।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত