ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২

রাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: উত্তাল ক্যাম্পাস

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ২২:২৯:১৯

রাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: উত্তাল ক্যাম্পাস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্নাতক ভর্তিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। জুমার নামাজের পর দুপুরে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি ক্যাম্পাসের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যার মধ্যে ছিল পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ভিক্ষা কোটার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা নে, পোষ্য কোটার কবর দে, আলি রায়হান মুগ্ধ ও শেষ হয়নি যুদ্ধ।

বক্তারা বলেন, পোষ্য কোটা একটি মীমাংসিত ইস্যু। কোনোভাবেই তা পুনর্বহাল করা যাবে না। আমরা রক্ত দেব, কিন্তু এই ক্যাম্পাসে পোষ্য কোটা ফিরতে দেব না। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে যখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে, সেই সময়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে দ্বন্দ্ব তৈরি করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা এটি কখনো বাস্তবায়ন করতে দেব না।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান বলেন, আমরা বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে পোষ্য কোটার কবর রচনা করেছিলাম। কিন্তু দেখা গেছে, আবার তা পুনঃস্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এটি প্রতিহত করবে।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহির ফয়সাল বলেন, আপনারা যদি রক্ত চান, আমরা দিতে রাজি। তবে এই রক্ত দিয়ে আমরা নিশ্চিত করব, পোষ্য কোটা কখনো ফিরবে না।

আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান সজীব অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাকসু নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য পোষ্য কোটার ইস্যুটি উসকে দিয়েছে।

এর আগে, ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব পোষ্য কোটা বাতিল ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেন, আমি ১ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখারও পক্ষে নই। এটি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে কার্যকর হবে। বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি বাতিল করা হবে।

পরে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নামে, যা প্রশাসনের আশ্বাসে কিছু সময় স্থগিত রাখা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি তারা ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়ে দাবি না মানলে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে প্রায় চার ঘণ্টা বিক্ষোভ চালান।

শেষে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিবাদ সমাপ্ত করেন।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত