ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

রাকসু নির্বাচনের আগে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ০১:৫৯:০২

রাকসু নির্বাচনের আগে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহালসহ তিন দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এর মধ্যে দাবিগুলো মেনে না নিলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সম্মিলিতভাবে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের এ ধরনের আন্দোলনে রাকসু নির্বাচন পেছানো বা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষক-কর্মকর্তারা নির্বাচনকে পুঁজি করে নিজেদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করছেন। তবে শিক্ষকরা বলছেন, তাদের আন্দোলনের প্রভাব নির্বাচনের ওপর পড়বে না।

তিন দফা দাবিগুলো হলো:১. প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।২. বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত সব ‘প্রশাসক প্রথা’ বাতিল করতে হবে।৩. সব শিক্ষকের জন্য ব্যক্তিগত চেম্বারের সুব্যবস্থা নিশ্চিত এবং শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।

রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ তার ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, বৈষম্য দূরীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা প্রচলনের নামে রাকসু নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা অথবা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও প্রশাসনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে রাকসু বানচালের পাঁয়তারা করলে শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবে না। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত না হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার এই আন্দোলনকে হতাশাজনক আখ্যা দিয়ে বলেন, রাকসু নির্বাচনকে পুঁজি করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি ক্যাম্পাসের সব প্রার্থীর প্রতি এই অযৌক্তিক দাবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আলীম জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করছেন। প্রশাসনের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন, কিন্তু দাবি মেনে না নেওয়ায় আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন। তিনি দাবি করেন, এই আন্দোলন রাকসু নির্বাচনের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না এবং দাবি মেনে নিলে নির্বাচনের আগেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে। তবে রাকসু নির্বাচনকে পুঁজি করে দাবি আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষকদের কর্মসূচির বিষয়টি তাদের এখতিয়ারভুক্ত নয়। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা করবেন।

এসপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত