ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২

ভারতের নাগরিক হয়েও বাংলাদেশের শিক্ষক

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৬ ১৪:১৩:০৬

ভারতের নাগরিক হয়েও বাংলাদেশের শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবনা সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত সুখ রঞ্জন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ভারতের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে শ্বশুরের নামে সরকারি লিজকৃত সম্পত্তি জালিয়াতি করে দখলের চেষ্টা করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

অভিযোগে বলা হয়, সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী পাবনা সদর উপজেলার বালিয়াহালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দক্ষিণ ব্যারাকপুর শহরের সূর্যসেন পল্লি এলাকার নির্মল কুমারের ছেলে। তার ভারতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র ও আধার কার্ড রয়েছে।

৩১ আগস্ট তার শ্যালক সুমন কুমার রায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী বাংলাদেশের চাকরিবিধি অমান্য করে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি ভারতে জমি ও ফ্ল্যাটের মালিক, এবং স্ত্রী ও বড় ছেলে ভারতে থাকেন। ছোট ছেলে বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ভাতা পায়, এজন্য তিনি তাকে নিয়ে পাবনাতে থাকেন। মাঝে মাঝে দীর্ঘ ছুটিতে তারা ভারতে যাতায়াত করেন।

শ্বশুর দীপক কুমার রায়ের নামে থাকা সরকারি লিজকৃত সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে করার চেষ্টা করছেন সুখ রঞ্জন। সুমন কুমার রায় অভিযোগে বলেন, “আমার বাবা শহরের মুরগি পট্টিতে সরকারি জমি লিজ নিয়ে বসবাস করতেন। বাবার মৃত্যুর পর মায়ের নামে লিজ দেওয়া হয়েছিল। মায়ের মৃত্যুর পর কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে শুধু আমার বোনকে একমাত্র উত্তরসূরি বানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এখন তারা আমাকে বাড়ি থেকে বের করতে চাইছে।”

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবীর জানান, “আমাদের কাছে অভিযোগ এবং কাগজপত্র এসেছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করি শিগগিরই রিপোর্ট পাওয়া যাবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অভিযুক্ত শিক্ষক সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যা। কাগজপত্র বানানো সম্ভব। আমার স্ত্রী ও সন্তানরা ভারতে চলে গেছে, তাদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। তদন্ত হলে আমি সব ডকুমেন্ট দেখাতে পারব।”

পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি জানছি, তবে এখনো লিখিত অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। লিখিত অভিযোগ এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইএইচপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত