ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২
ইউক্রেন রাজি না হলে যুদ্ধেই লক্ষ্য পূরণ করবে রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়া শান্তি আলোচনা পুরোপুরি বাদ দিচ্ছে না, তবে চুক্তি ব্যর্থ হলে সামরিক উপায়ে লক্ষ্য পূরণ করবে—এমন বার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেন যদি আলোচনায় রাজি না হয়, তবে রাশিয়ার সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রেই তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করবে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। চীনে সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন পুতিন। তার বক্তব্যকে অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী বিশ্বব্যবস্থা ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন। যদিও পুতিন ট্রাম্পের যুদ্ধ থামানোর “আন্তরিক প্রচেষ্টা”র প্রশংসা করেছেন, কিন্তু প্রস্তাবে সায় দেননি।
এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি বিবিসিকে বলেন, অন্তত ট্রাম্প আলোচনার টেবিলে পুতিনকে নিয়ে আসতে পেরেছেন। প্রয়োজনে যুক্তরাজ্যসহ মিত্ররা রাশিয়ার ওপর আরও অর্থনৈতিক চাপ দেবে এবং ইউক্রেনকে অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা জোগাবে।
গত মাসে আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প। তখন তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে পুতিনের সাক্ষাতের উদ্যোগও নেন। পুতিন সে প্রসঙ্গে জানান, “আমি কখনোই বৈঠকের সম্ভাবনা বাতিল করিনি, তবে প্রশ্ন হলো এর কোনো বাস্তব সুফল আসবে কি না।” তিনি বলেন, যথাযথ প্রস্তুতি হলে জেলেনস্কি চাইলে মস্কোতেও আসতে পারেন। তবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গেই এ প্রস্তাবকে “অগ্রহণযোগ্য” বলে প্রত্যাখ্যান করেন।
এ নিয়ে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে এবং ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা জোরদার করতে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ হামলা শুরু করার পর থেকেই পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে কিয়েভের যোগাযোগ আরও জোরদার হয়েছে।
বুধবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, পুতিন ভালোভাবেই জানেন তিনি কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন। তার কাছে আলাদা বার্তা নেই। “তিনি জানেন আমি কোথায় আছি, সিদ্ধান্ত নেবেন একদিকে বা অন্যদিকে।”
এ সময় পোল্যান্ডের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট কারোল নাভরোকিকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের দিক লক্ষ্য করে আরোপিত দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা প্রমাণ করে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।
অন্যদিকে বেইজিংয়ে রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক সাংবাদিক যখন যুদ্ধ দ্রুত শেষ হওয়ার সম্ভাবনা জানতে চান, পুতিন বলেন, “টানেলের শেষে ক্ষীণ আলো দেখা যাচ্ছে। সাধারণ জ্ঞান প্রয়োগ হলে গ্রহণযোগ্য সমাধান সম্ভব, না হলে সামরিকভাবেই আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে হবে।”
তিনি স্পষ্ট করে জানান, দনবাস অঞ্চল রাশিয়া ছাড়বে না। ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ না দেওয়া এবং রুশভাষীদের প্রতি বৈষম্য বন্ধ করাকেও তিনি শর্ত হিসেবে পুনর্ব্যক্ত করেন। পুতিন ইঙ্গিত দেন, ভবিষ্যতে কোনো শান্তিচুক্তি হলেও পশ্চিমা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দনবাসে প্রযোজ্য হবে না, কারণ ওই এলাকার জনগণ রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে—যা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচিত।
এ সময় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে পুতিন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে “বিশেষ আস্থা, বন্ধুত্ব ও জোটের সম্পর্ক” বলে উল্লেখ করেন। কিমও রাশিয়ার সেনাদের সমর্থনকে উত্তর কোরিয়ার “ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দায়িত্ব” বলে বর্ণনা করেন।
এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের মিত্রদের নিয়ে ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’-এর বৈঠক আয়োজন করছেন। এলিসি প্রাসাদের একটি সূত্র জানায়, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণে ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা ও রাশিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধবিরতি আদায়ের চেষ্টা হবে।
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার