ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২
এশিয়া কাপে ভারতের জাতীয় দল স্পন্সরশূন্য

স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতীয় সরকারের নতুন নিয়মের কারণে জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পন্সর ড্রিম এলেভেনকে আচমকা বিদায় জানাতে হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিসিসিআই নতুন স্পনসর হওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। তবে এবার বোর্ড অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার ফলে আসন্ন এশিয়া কাপে ভারত স্পন্সর ছাড়াই খেলতে নামতে পারে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, নতুন স্পনসর নির্বাচন নিয়ে বিসিসিআই কোনো তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয়। আজ (মঙ্গলবার) থেকে যেকোনো স্বনামধন্য সংস্থা দরপত্র পাঠাতে পারবে এবং এর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। উল্লেখ্য, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপের পর্দা উঠবে। এই সময়সীমার কারণে এশিয়া কাপের আগে প্রধান স্পনসর পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
বিসিসিআই দরপত্র পাঠানোর জন্য একটি নির্দেশিকাও তৈরি করেছে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, অনলাইন গেমিং, জুয়া কিংবা এই সংশ্লিষ্ট কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত কোনো সংস্থা আবেদন করতে পারবে না। সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার নতুন ‘অনলাইন গেমিং বিল’ পাশ করেছে, যার ফলে অনলাইনে টাকার বিনিময়ে খেলা হয় এমন সব ধরনের অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভারতের জাতীয় দলের জার্সি স্পনসর ‘ড্রিম ১১’ ছিল এই ধরনেরই একটি অ্যাপ, ফলস্বরূপ তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে বিসিসিআই। বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া জানিয়েছেন, ভবিষ্যতেও এই ধরনের সংস্থার সঙ্গে আর কখনো চুক্তি করবে না বোর্ড।
১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান স্পনসর প্রতিষ্ঠানের আবেদনের সময় দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এশিয়া কাপে ভারতীয় দলকে স্পনসর ছাড়াই খেলতে হবে। তবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরুর আগে নতুন স্পনসর চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিসিসিআই কর্মকর্তারা আশা করছেন, আগামী তিন বছরে প্রধান স্পনসরের কাছ থেকে অন্তত ৪৫০ কোটি রুপি আয় করা সম্ভব হবে। ভারতের আগ্রহী সংস্থাগুলোকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হলে আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অফেরতযোগ্য ৫ লাখ রুপি দিতে হবে, আর বিদেশি সংস্থাগুলোর জন্য এই ফি ৫৬৭৫ ডলার।
স্পনসর হওয়ার ক্ষেত্রে বিসিসিআই ১০ ধরনের সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই সংস্থাগুলো হলো— ভারতে বা বিশ্বের কোথাও পরিচালিত অনলাইন গেমিং বা জুয়ার সঙ্গে জড়িত সংস্থা, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্রিপ্টো ট্রেডিং বা ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ বা ক্রিপ্টো টোকেন বা ক্রিপ্টো কারেন্সি বা ওই ধরনের কোনো ব্যবসায় জড়িত সংস্থা, মদ প্রস্তুতকারী সংস্থা, তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা, পর্নোগ্রাফি প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা, ব্যাংক–আর্থিক পরিষেবা ও নন-ব্যাংকিং সংস্থা, অ্যালকোহলহীন ঠান্ডা পানীয় সংস্থা, পাখা-মিক্সার গ্রাইন্ডার ও তালা প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং বীমা সংস্থা। এই কঠোর শর্তাবলী একটি স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য স্পনসরশিপ নিশ্চিত করতে বিসিসিআইয়ের দৃঢ় পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে
- ব্যাংকিং খাতে এমডিদের পদত্যাগের ঢেউ: সুশাসনের সংকট স্পষ্ট