ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২
ফেলে দেওয়া কলার খোসা যেভাবে চুলের উপকার করে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: কলা খাওয়ার পর খোসা ফেলে দেওয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এই ফেলে দেওয়া কলার খোসাই আপনার চুল পড়া বা চুলের রুক্ষতার মতো সমস্যার কার্যকর প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে। গবেষণা বলছে, কলার খোসায় এমন কিছু পুষ্টিগুণ বিদ্যমান যা সরাসরি মাথার ত্বক ও চুলের গোড়ায় কাজ করে। এটি শুধু চুল পড়া কমায় না, বরং চুলের গোড়ায় পুষ্টি যুগিয়ে নতুন চুল গজাতেও সহায়তা করে।
কলার খোসায় থাকা প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহ:
কলার খোসা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের একটি প্রাকৃতিক উৎস, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী:
- পটাশিয়াম: প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে এটি চুলের ফলিকলকে শক্ত করে এবং অতিরিক্ত চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট: খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, ফলে চুল হয় মজবুত ও সুস্থ।
- ম্যাগনেশিয়াম: এটি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে।
- ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন সি: এই ভিটামিনগুলো চুলকে শক্ত করে এবং চুলের গঠন উন্নত করে।
- প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার: কলার খোসা রুক্ষ ও শুষ্ক চুলকে নরম ও মসৃণ করে তোলে।
- পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে: কলার খোসা ভিজিয়ে রাখা পানি মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখে।
কলার খোসা ব্যবহারের কার্যকরী পদ্ধতি:
আপনার চুলের সমস্যার সমাধান হিসেবে কলার খোসা বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন:
১। কলার খোসার পানি:
এক বা দুটি কলার খোসা ফুটন্ত পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না পানি প্রায় অর্ধেক হয়ে আসে। মিশ্রণটি ঠান্ডা করে একটি স্প্রে বোতলে তুলে রাখুন। শ্যাম্পু করার পর চুলে স্প্রে করে ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি একটি চমৎকার প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করবে।
২। কলার খোসা ও নারকেল তেলের পেস্ট:
কয়েকটি কলার খোসা নারকেল তেলের সঙ্গে ব্লেন্ড করে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মাথার ত্বক ও চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ চুল পড়া কমাতে এবং চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করতে অত্যন্ত কার্যকর।
৩। কলার খোসা, দই ও মধুর প্যাক:
কলার খোসা ব্লেন্ড করে তার সঙ্গে দই ও মধু মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক চুল ও মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুল হবে কোমল ও ঝকঝকে।
সতর্কতা:
যেকোনো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের আগে ত্বকের সংবেদনশীলতা পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি। হাতের ত্বকে সামান্য পরিমাণে লাগিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন কোনো অ্যালার্জি বা অস্বস্তি হচ্ছে কিনা। যদি জ্বালা বা অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার