ঢাকা, বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

শান্তি আলোচনার পরের দিনই ইউক্রেনজুড়ে তীব্র রুশ হা'মলা

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ আগস্ট ২০ ০০:০৫:১৬
শান্তি আলোচনার পরের দিনই ইউক্রেনজুড়ে তীব্র রুশ হা'মলা

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার হওয়ার ঠিক পরের দিনই ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, গত রাতে রাশিয়া প্রায় ২৭০টি ড্রোন ও ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা চলতি মাসের সবচেয়ে বড় হামলা। এই হামলায় দেশটির পলতাভা অঞ্চলের একটি তেল শোধনাগার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেখানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এই হামলা এমন এক সময়ে চালানো হলো, যখন মাত্র একদিন আগেই সোমবার হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করেছেন। আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক এবং পরবর্তীতে ওয়াশিংটনের এই বৈঠকের পর শান্তি প্রক্রিয়ায় গতি এলেও যুদ্ধক্ষেত্রের সহিংসতা কমেনি।

যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়া জানিয়েছে, তারা ইস্তাম্বুলে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী ইউক্রেনের ১ হাজার সেনার মরদেহ ফেরত দিয়েছে। এর বিনিময়ে ইউক্রেন থেকে ১৯টি রুশ সেনার মরদেহ ফেরত পেয়েছে তারা। এই মানবিক পদক্ষেপে সহায়তার জন্য ইউক্রেন আন্তর্জাতিক রেড ক্রসকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

শান্তি আলোচনায় প্রধান বাধা হিসেবে কাজ করছে ভূখণ্ড বিনিময় এবং ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ভবিষ্যতে রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী এবং পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের নিশ্চয়তা চাইছেন। এ ছাড়া, ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর মতো একটি সমষ্টিগত প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে।

এরই মধ্যে ৩০টি দেশ—যাদের মধ্যে ইউরোপ, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া রয়েছে—"কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং" নামে একটি উদ্যোগে যোগ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্যোগে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করলেও সরাসরি সেনা পাঠাতে রাজি হয়নি।

তবে রাশিয়া স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, তারা ইউক্রেনের মাটিতে ন্যাটো বা অন্য কোনো পশ্চিমা দেশের সেনার উপস্থিতি মেনে নেবে না। যদিও মস্কো জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়নি, তবে বলেছে, যেকোনো শীর্ষ বৈঠকের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি প্রয়োজন।

এদিকে, ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, "আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বোঝা যাবে পুতিন আসলেই শান্তি চুক্তি চান কি না। আমার ধারণা, তিনি হয়তো কোনো চুক্তি চাইছেন না। আর তেমনটা হলে তার জন্যই পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠবে।"

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন
ট্যাগ: #russia #ukraine #trump #putin

সর্বোচ্চ পঠিত