ঢাকা, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২
জুলাই সনদের আইনি চ্যালেঞ্জ: সমাধানের খোঁজে ঐকমত্য কমিশন

মাসব্যাপী রাজনৈতিক সংলাপের ফসল ‘জুলাই সনদ’ তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে—কীভাবে এই রাজনৈতিক ঐকমত্যকে আইনি ভিত্তি দেওয়া হবে? এই জটিলতার গ্রন্থি খুলতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের শীর্ষ আইন বিশেষজ্ঞদের দ্বারস্থ হয়েছে। রোববার অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠকে উঠে এসেছে গণভোট থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার মতো একাধিক সম্ভাব্য সমাধান।
৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর সৃষ্ট ‘ব্যতিক্রমী সাংবিধানিক পরিস্থিতি’কে মাথায় রেখেই বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত দিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত একজন বিশেষজ্ঞের মতে, "এই পরিস্থিতি এতটাই ইউনিক যে, প্রচলিত আইনি কাঠামোর বাইরে গিয়ে ভাবতে হচ্ছে।" এই বাস্তবতায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য যে পথগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে:
১. সর্বোচ্চ আদালতের বৈধতা: সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা। যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পেছনেও পরোক্ষভাবে আদালতের একটি যোগসূত্র রয়েছে, তাই সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জুলাই সনদের বিষয়ে আদালতের মতামত চাওয়া একটি শক্তিশালী বিকল্প হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ১/১১ পরবর্তী সময়ে যেমন আদালত একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন, এবারও আদালত দেশের নতুন সাংবিধানিক বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে পারবেন না।
২. জনগণের ম্যান্ডেট: দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে গণভোটের কথা বলা হয়েছে, যা সনদটিকে সরাসরি জনগণের বৈধতা দেবে। তবে এর রাজনৈতিক ঝুঁকি এবং আয়োজন নিয়ে চ্যালেঞ্জের কথাও উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩. অধ্যাদেশ ও আইনি কাঠামো: এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের অধ্যাদেশের ক্ষমতা ব্যবহার করে এবং ‘লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার (এলএফও)’-এর মতো একটি আইনি কাঠামো তৈরি করেও সনদ বাস্তবায়নের পথ খোঁজা হচ্ছে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিচারপতি এম এ মতিন, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, ড. শরিফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওনের মতো আইন বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, "বিশেষজ্ঞরা জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও বাস্তবায়নের বিষয়ে মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন।"
এই বৈঠককে একটি ‘ব্রেইনস্টর্মিং সেশন’ হিসেবেই দেখছে কমিশন। আরও আলোচনার মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করে সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- ছাত্ররাজনীতি থাকবে কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে: বাগছাস
- অতর্কিত ঢাবি ও জবির ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত
- শেখ সেলিমের ২১টি বিও অ্যাকাউন্ট ও ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- আ’লীগকে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টায় বামপন্থীরা: ঢাবি শিবির
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা