ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২
শিশু হাসপাতালের ৬৫ চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল
.jpg)
বিতর্কের মুখে ৬৫ জন চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল করেছে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট। নতুন করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সব প্রক্রিয়া নিয়ে ৪২ জনকে স্থায়ীভাবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম জানান, নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তাই পরিচালনা বোর্ডের সভায় আলোচনা শেষে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে নিয়োগ বাতিলের। এখন নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুনভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণভাবে দেওয়া ৬৫ জন চিকিৎসকের বিতর্কিত নিয়োগ বাতিল করেছে। তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ মিললে চরম সমালোচনার মুখে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৪২ চিকিৎসককে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, ৪ জুলাই অভ্যন্তরীণভাবে ৬৫ জন চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, এদের বেশিরভাগই একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী। এতে চিকিৎসক সমাজে অসন্তোষ ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
তদন্তে উঠে আসে, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল অস্বচ্ছ ও পক্ষপাতদুষ্ট। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের পরিচালক ডা. মাহবুবুল হক ও নিয়োগ কমিটির প্রধান ডা. একেএম আজিজুল হক গোপন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেন। এ বিষয়ে জাতীয় দৈনিকে কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি, এমনকি হাসপাতালের ওয়েবসাইটেও তা জানানো হয়নি।
বঞ্চিত চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন, অনেক অনারারি চিকিৎসককে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদের অধিকাংশই কোনো প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হননি। ফলে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম চিকিৎসকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া তদন্তের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠিও পাঠানো হয়। তদন্তে একাধিক অনিয়ম ধরা পড়ে।
এমনকি ২০২১ সালেও একইভাবে ৬০ জন চিকিৎসককে অনিয়ম করে নিয়োগ দেয়া হয়। এবারও একই কৌশল অনুসরণ করায় নিয়োগবঞ্চিতদের ভাষায়, এটি জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে উপহাস করা।
তারা আরও বলছেন, শিশু হাসপাতাল স্বায়ত্তশাসিত হলেও এর ব্যয়ের একটি বড় অংশ সরকার বহন করে। ফলে এখানে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি ছিল, যা এ প্রক্রিয়ায় উপেক্ষিত হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান জানান, নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাপে পড়ে অবশেষে এক সপ্তাহের মধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। সংশ্লিষ্টদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, যেখানে নিয়ম ভঙ্গ বা গোপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ গ্রহণযোগ্য নয় এ বার্তাই দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা