ঢাকা, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২
১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের

উদ্যোক্ত পরিচালকদের কাছে ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানির শেয়ার। যদিও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা মোতাবেক তালিকাভুক্তি কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের সম্মিলিত শেয়ার কমপক্ষে ৩০ শতাংশের নিচে থাকতে হবে।
যে ৮টি কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কোম্পানিগুলোর ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই, সেগুলো হলো- সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল, ফ্যামিলি টেক্স, ফুওয়াং ফুডস, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক-এসআইবিএল এবং ইসলামী ব্যাংক। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস
কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪টি। এর মধ্যে বর্তমানে ৭.৬৭ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। অবশিষ্ট শেয়ারের মধ্যে ৬.২০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৮৬.১৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল
কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৯৩ লাখ ১৬ হাজার। এর মধ্যে বর্তমানে ৭.১০ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। এছাড়া, কোম্পানিটিতে ১০.০৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৮২.৮৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
ফ্যামিলি টেক্স
কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৮টি। এর মধ্যে বর্তমানে ৪.০২ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। এছাড়া, কোম্পানিটিতে ১৮.৪১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৭৭.৫৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক
কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১২০ কোটি ৮১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৭৯টি। এর মধ্যে বর্তমানে ৫.৯০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। এছাড়া, কোম্পানিটিতে ২৯.১৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.৮০ শতাংশ বিদেশি এবং ৬৪.১৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
ফু-ওয়াং ফুডস
কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে বর্তমানে ৭.৮৫ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। এছাড়া, কোম্পানিটিতে ৮.৭৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.০১ শতাংশ বিদেশি এবং ৮৩.৩৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
আইএফআসি ব্যাংক
ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৯২ কোটি ২০ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৮টি। এর মধ্যে বর্তমানে ০.০০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। এছাড়া, কোম্পানিটিতে ৩২.৭৫ শতাংশ সরকার, ২১.৩৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.৬৩ শতাংশ বিদেশি এবং ৫.২৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
এসআইবিএল ব্যাংক
ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১৪ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার ১০০টি। এর মধ্যে বর্তমানে ১১.৬২ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৬৮.৬৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.৮৭ শতাংশ বিদেশি এবং ১৮.৮২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ
ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮টি। এর মধ্যে বর্তমানে ০.১৮ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদকের কাছে রয়েছে। অবশিষ্ট শেয়ারের মধ্যে ৭৪.৮২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১৭.৮৯ শতাংশ বিদেশি এবং ৭.১১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক-এসআইবিএল এবং ইসলামী ব্যাংকে আলোচিত শিল্পপতি এস আলম ব্যাংক ৩টিতে উদ্যোক্তা শেয়ার হিসাবে ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক তার পরিচালক পদ বাতিল হওয়ায় তার শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ারে পরিণত হয়েছে। যে কারণে ব্যাংক ৩টির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার কমে গেছে। তবে ব্যাংক ৩টিতে এস আলমের শেয়ার আদালক কর্তৃক জব্দ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- ঢাবির জিয়া হলে ‘ক্যারিয়ার টক’ অনুষ্ঠিত
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- শেয়ার কারসাজিকারীদের শাস্তি ১০ বছর করার প্রস্তাব