ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২
প্রধান উপদেষ্টাকে উকিল নোটিশ পাঠালেন টিউলিপ সিদ্দিক

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এমপি টিউলিপ সিদ্দিক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। স্কাইনিউজের বরাতে জানা গেছে, তিনি অভিযোগ করেছেন—একটি পরিকল্পিত প্রচারণার মাধ্যমে তার সুনাম ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করা হচ্ছে। টিউলিপের দাবি, এই প্রচারণার পেছনে রয়েছেন ড. ইউনূস ও দুদক।
উকিল নোটিশে তিনি দাবি করেছেন, ‘ড. ইউনূস ও দুদকের মূল উদ্দেশ্য তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করা এবং যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা, বিশেষ করে তার নির্বাচনী এলাকা, রাজনৈতিক দল ও দেশসেবার কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করা। যা গ্রহণযোগ্য নয়।’
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আইনি প্রতিষ্ঠান স্টেফেনসন হারউড এলএলপি মাধ্যমে পাঠানো ওই নোটিশে বলা হয়েছে, টিউলিপ গত ১৮ মার্চ ও ১৫ এপ্রিল দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এছাড়া ৪ জুন ড. ইউনূসকে একটি চিঠি দেয়া হয়। তবে এখনও তাদের কোনো জবাব পাননি।
নোটিশে আইনি প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে, ‘টিউলিপ সিদ্দিক একটি পরিকল্পিত অভিযানের শিকার, যার পেছনে রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ও দুদক। আমরা আগের চিঠিপত্রে প্রমাণ দিয়েছি, টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিটি অভিযোগ মিথ্যা।’
ড. ইউনূসের লন্ডন সফরের সময় টিউলিপ তার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘দুঃখজনকভাবে প্রধান উপদেষ্টা টিউলিপের এই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।’
বিবিসির সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস সাক্ষাত না করার কারণ হিসেবে আইনি প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে স্টেফেনসন হারউড বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার অবস্থান বিস্ময়ের। তিনি বলেন, এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া এবং তিনি এতে হস্তক্ষেপ করতে চান না।’
টিউলিপের সেই নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘যখন দুদকের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তখন টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা করা সমীচীন নয়। আশা করা যেত, প্রধান উপদেষ্টা অভিযোগের আগে সঠিক তথ্য যাচাই করতেন।’
আইনি প্রতিষ্ঠান মনে করছে, প্রধান উপদেষ্টার টিউলিপের সঙ্গে বসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের দুটি কারণ থাকতে পারে: প্রথমত, টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা এবং দ্বিতীয়ত, আলোচনায় আসতে না চাওয়া।
নোটিশে দুদক চেয়ারম্যানকে পাঠানো চিঠির একটি অনুলিপি প্রধান উপদেষ্টাকেও প্রেরণের কথা উল্লেখ রয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘এখন প্রধান উপদেষ্টা ও দুদকের মিথ্যা প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।’
স্টেফেনসন হারউড জানাচ্ছে, ‘৩০ জুনের মধ্যে চিঠির যথাযথ জবাব না পেলে, টিউলিপ সিদ্দিক বিষয়টি সমাপ্ত বলে গণ্য করবেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরাসরি পারমাণবিক অ'স্ত্র পাবে ইরান!
- ‘বিপর্যয় থেকে বিশ্ব মাত্র কয়েক মিনিট দূরে’
- প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা থেকে লোকসানে গেল চার ব্যাংক
- সাত কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের পুঁজির বড় অংশ উধাও
- ইরানে বড় ধ্বংসলীল : ৬ বিমানবন্দরে একযোগে হামলা
- হা'মলার পর হন্যে হয়ে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের
- ভিডিও ফাঁস করার বিষয়ে মুখ খুলেছেন শরীয়তপুরের সেই ডিসি
- মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা; উত্তেজনা তুঙ্গে
- দুর্বল ১৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
- জবাব দিতে শুরু করেছে ইরান
- যেসব শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো ইরান
- একাধিক মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া
- শেয়ার কিনেছেন চার কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা
- ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে ক্লাস ছুটি কতদিন, যা জানা গেল
- মোবাইলে কল এলেই ইন্টারনেট বন্ধ? এক মিনিটেই সমাধান!