ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

দুর্বল ১৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ডুয়া নিউজ- অর্থনীতি
২০২৫ জুন ১৯ ১৬:৫৯:৫৫
দুর্বল ১৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

বিগত সরকারের আমলে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে (এনবিএফআই) নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে। যার ফলে দেশের সিংহভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে লিকুইডেশন বা বিলুপ্তির কথা ভাবছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, "আমরা এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাচাইবাছাই করেছি। দেখেছি ১৫ থেকে ১৬টি প্রতিষ্ঠান একেবারে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় আছে। এদের ৯৯ শতাংশ ঋণ খেলাপি। আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি, তোমাদের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না। আশা করি এ সপ্তাহের মধ্যে তাদের কাছ থেকে জবাব পাব।"

ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, "আমরা তাদের সঙ্গে বসে একটা পরিকল্পনা করব, কীভাবে এই ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে সামলানো যায়—হয় তাদের লিকুইডেশন করতে হবে, নয়তো অন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি আমরা ভাবছি কীভাবে ডিপোজিটরদের ক্ষতি কমানো যায়। আমরা ডিপোজিটরদের স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। যদিও এখানে সরকার আইনগতভাবে দায়বদ্ধ নয়। কারণ তারা নিজের ইচ্ছায় এসব প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখেছে। তবুও আমরা মনে করি সরকারের একটা নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। লিকুইডেশন অবশ্যই একটি বিকল্প।"

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মনে করেন, "অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হতে পারে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান মার্জ (একীভূত) করে বড় সুবিধা পাওয়া যাবে না। আসলে আমাদের দেশে এত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনও ছিল না। ৩৫টি থাকার দরকার ছিল না, ১৫টি না থাকলেও কোনো ব্যাপার হতো না। বাকি ২০-২৪টি প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে চললেই কাজ হবে।"

ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, "আমাদের কাছে এত প্রতিষ্ঠান ম্যানেজ করার যথাযথ দক্ষতা নেই। ভালো ম্যানেজমেন্ট, এমডি, ডিএমডি বা পরিচালক হিসেবে ভালো লোক পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। আজ আমাকে বলা হয়েছে ৮ থেকে ১০টি জায়গায় কোথায় ভালো ডাইরেক্টর দেব, সেটা খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমাকে বুঝদার হয়ে কাজ করতে হবে। যদি ভালো টপ ম্যানেজমেন্ট দিতে না পারি, তাহলে একটা ব্যাংক চালানো সম্ভব নয়।"

বিগত সরকারের আমলে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে (এনবিএফআই) নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে। যার ফলে দেশের সিংহভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে লিকুইডেশন বা বিলুপ্তির কথা ভাবছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, "আমরা এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাচাইবাছাই করেছি। দেখেছি ১৫ থেকে ১৬টি প্রতিষ্ঠান একেবারে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় আছে। এদের ৯৯ শতাংশ ঋণ খেলাপি। আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি, তোমাদের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না। আশা করি এ সপ্তাহের মধ্যে তাদের কাছ থেকে জবাব পাব।"

ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, "আমরা তাদের সঙ্গে বসে একটা পরিকল্পনা করব, কীভাবে এই ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে সামলানো যায়—হয় তাদের লিকুইডেশন করতে হবে, নয়তো অন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি আমরা ভাবছি কীভাবে ডিপোজিটরদের ক্ষতি কমানো যায়। আমরা ডিপোজিটরদের স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। যদিও এখানে সরকার আইনগতভাবে দায়বদ্ধ নয়। কারণ তারা নিজের ইচ্ছায় এসব প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখেছে। তবুও আমরা মনে করি সরকারের একটা নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। লিকুইডেশন অবশ্যই একটি বিকল্প।"

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মনে করেন, "অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হতে পারে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান মার্জ (একীভূত) করে বড় সুবিধা পাওয়া যাবে না। আসলে আমাদের দেশে এত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনও ছিল না। ৩৫টি থাকার দরকার ছিল না, ১৫টি না থাকলেও কোনো ব্যাপার হতো না। বাকি ২০-২৪টি প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে চললেই কাজ হবে।"

ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, "আমাদের কাছে এত প্রতিষ্ঠান ম্যানেজ করার যথাযথ দক্ষতা নেই। ভালো ম্যানেজমেন্ট, এমডি, ডিএমডি বা পরিচালক হিসেবে ভালো লোক পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। আজ আমাকে বলা হয়েছে ৮ থেকে ১০টি জায়গায় কোথায় ভালো ডাইরেক্টর দেব, সেটা খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমাকে বুঝদার হয়ে কাজ করতে হবে। যদি ভালো টপ ম্যানেজমেন্ট দিতে না পারি, তাহলে একটা ব্যাংক চালানো সম্ভব নয়।"

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত