ঢাকা, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
বস্ত্র খাতে মুনাফা বেড়েছে ২০ কোম্পানির

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৪৫টি কোম্পানি তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযাযী আলোচ্য সময়ে মুনাফা বেড়েছে ২০ কোম্পানির। বিপরীতে মুনাফা কমেছে ২৩ কোম্পানির। দুটির লোকসান বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আরগন ডেনিমস, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল, ডেল্টা স্পিনার্স, দেশ গার্মেন্টস, দুলামিয়া কটন, এনভয় টেক্সটাইল, এস্কোয়ার নিট কম্পোজিট, ইভিন্স টেক্সটাইল, হাওয়াওয়েল টেক্সটাইল, মতিন স্পিনিং, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, শাশা ডেনিমস, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, স্কয়ার টেক্সটাইল, স্টাইলক্র্যাফট, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল এবং তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ।
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৬ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৭২ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২৬ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা।
আরগন ডেনিমস
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪০ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ১৪ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪২ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৫৭ পয়সা।
সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮ পয়সা। গত বছর একই সময় লোকসান ছিল ৫ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৩ পয়সা। গত বছর একই সময় লোকসান ছিল ১১ পয়সা।
ডেল্টা স্পিনার্স
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ পয়সা। গত বছর একই সময় লোকসান ছিল ৯ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১০ পয়সা। গত বছর একই সময় লোকসান ছিল ২৯ পয়সা।
দেশ গার্মেন্টস
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৯ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৩৬ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৮ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৪৮ পয়সা।
দুলামিয়া কটন
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ পয়সা। গত বছর একই সময় লোকসান ছিল ১৬ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৪ পয়সা। গত বছর একই সময় লোকসান ছিল ৩০ পয়সা।
এনভয় টেক্সটাইল
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪৪ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৮ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৩ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬২ পয়সা।
এস্কোয়ার নিট কম্পোজিট
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯ পয়সা। গত বছর একই সময় লোকসান ছিল ৫৫ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৯ পয়সা। গত বছর একই সময় লোকসান ছিল ১ টাকা ৬৩ পয়সা।
ইভিন্স টেক্সটাইল
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৭ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ১২ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ১৯ পয়সা।
হাওয়াওয়েল টেক্সটাইল
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮৬ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ২৯ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৪ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬৩ পয়সা।
মতিন স্পিনিং
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৯৮ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৬৬ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫৬ পয়সা।
মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৯ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ২২ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭০ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৬৯ পয়সা।
প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৭৬ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ১ টাকা ৮৭ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ২২ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৬৪ পয়সা।
কুইন সাউথ টেক্সটাইল
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৮ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ১১ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৬ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ২৩ পয়সা।
শাশা ডেনিমস
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৩ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৯২ পয়সা।
সোনারগাঁও টেক্সটাইল
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২২ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ২০ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ পয়সা। গত বছর একই সময় লোকসান ছিল ৫ পয়সা।
স্কয়ার টেক্সটাইল
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৭ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৮ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ১০ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৪ টাকা ২৪ পয়সা।
স্টাইলক্র্যাফট
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ পয়সা। গত বছর একই সময় লোকসান ছিল ২৪ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ পয়সা। গত বছর একই সময় লোকসান ছিল ২ টাকা ৮২ পয়সা।
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ১ টাকা ৬৯ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৪৮ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৪২ পয়সা।
তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২০ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৮ পয়সা।
প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৭ পয়সা। গত বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৫৪ পয়সা।
বস্ত্র খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি, যা বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে প্রধান ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে রপ্তানিমুখী খাতটি কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। তবে সরকারের নীতি সহায়তা, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং দেশের ভেতরে ক্রমবর্ধমান চাহিদা এ খাতের জন্য এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ দেখাচ্ছে। এসব অনুকূল পরিবেশের কারণে অদূর ভবিষ্যতে কোম্পানিগুলোর আরও ভালো পারফরম্যান্সের সম্ভাবনা রয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাইভে এসে হিরো আলমের আ-ত্ম-হ-ত্যা
- ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ: এক কোম্পানির শেয়ার কিনলেন উদ্যোক্তারা
- পাঁচ কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসসি
- শেয়ার কারসাজিতে ১৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ২.৫২ কোটি টাকা জরিমানা
- মৌসুমী-হাসান জাহাঙ্গীরের বিয়ে: ওমর সানীর ‘জুতাপেটা’র হুমকি
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দেয়ায় ক্যাটাগরি উন্নতি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- শেয়ারবাজার বাঁচাতে অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি
- শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চান বিনিয়োগকারীরা
- বড় আন্দোলনে নামছে ৩ 'দল'
- শেয়ারবাজারের ৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করতে রোডম্যাপ ঘোষণা
- মোবাইল কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে বিশেষ প্রণোদনা
- মুনাফা বেড়েছে বিবিধ খাতের ৬ কোম্পানির
- ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃ'ত্যু ৬