ঢাকা, সোমবার, ২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্যের আহ্বান বিশিষ্ট নাগরিকদের

হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে সফল অভ্যুত্থানের পর জনগণের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে বর্তমান সরকার অধিষ্ঠিত হলেও সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। তাদের মতে, এই সুযোগে ভারতীয় আধিপত্যবাদ আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে, যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে পলিসি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ সোসাইটির (পিএমআরএস) উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও সংস্কার: আশু করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম এ ফায়েজ। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক সচিব ও পিএমআরএস চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ।
সেমিনারে বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, সংস্কার, ফ্যাসিস্টদের বিচার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দলগুলোসহ সব শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের মধ্যে জুলাইয়ের ঐক্য ও সংহতি ধরে রাখতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. এসএম এ ফায়েজ বলেন, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ পতন হয়েছে। জনগণ ড. ইউনূসের ওপর আস্থা রেখে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছে। সেই আস্থা ধরে রাখার পাশাপাশি সরকারের ভুল-ত্রুটিও চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা সক্রিয় রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
প্রধান বক্তা ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, “আন্দোলনের সময় তরুণদের মুখগুলো আজও চোখে ভাসে। তাদের স্বপ্ন ছিল গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও একটি বাসযোগ্য সমাজ। এই সরকার সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনকে অগ্রাধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছে—তবে এর জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, দেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর তৎপরতা রয়েছে, যা আমাদের দৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করছে। এ অবস্থায় জাতীয় ঐকমত্য আরও দৃঢ় করা জরুরি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা আত্মত্যাগ করেছেন, তারা ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এখন তরুণদের অবজ্ঞা না করে তাদের মতামত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। এমনকি বিএনপিকেও তাদের চিন্তা ও ভাষা বুঝতে হবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন পিএমআরএস-এর ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, সাংবাদিক এমএ আজিজ, সাবেক সচিব আবদুল খালেক, শিক্ষাবিদ আবদুল লতিফ মাসুম, সাবেক সচিব জাকির হোসেন কামাল, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ড. একেএম শামসুল ইসলাম এবং সেমিনার উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক এবিএম আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- ঘুরে দাঁড়ানোর পথে দেশের শেয়ারবাজার: দৃশ্যমান হচ্ছে ইতিবাচক পদক্ষেপ
- ভারতে রেড অ্যালার্ট জারি!