ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মুনাফায় বড় উত্থান, তারপরও দরপতনের শীর্ষে!

২০২৫ মে ১৫ ১৯:১৭:৪০
মুনাফায় বড় উত্থান, তারপরও দরপতনের শীর্ষে!

ডুয়া নিউজ: চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের মুনাফায় বড় উত্থান দেখা গেছে। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ০৪ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ৮৬ পয়সা (পুনঃমূল্যায়িত)। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মুনাফার এতো বড় খবর আসারও পরও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারদামে দেখা গেছে দিনের সর্বোচ্চ পতন।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, এদিন যমুনা ব্যাংকের শেয়ারদাম কমেছে ২ টাকা ৫০ পয়সা বা ১২.৮৯ শতাংশ। যা এদিন বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ পতনের উদাহরণ। এমন মুনাফা বৃদ্ধির পরও শেয়ারদামে এই পতনের কারণ খুঁজতে গিয়ে উঠে আসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—যেটি হলো রেকর্ড ডেট।

সম্প্রতি ঘোষিত সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য যমুনা ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের জন্য ঘোষণা করেছে ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ এবং ৬.৫০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড। এই ডিভিডেন্ড ঘোষণার ভিত্তিতে আজ ছিল রেকর্ড ডেটের পরবর্তী দিন, অর্থাৎ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ডিভিডেন্ড অ্যাডজাস্টমেন্টের পর।

রেকর্ড ডেটের আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারদাম ছিল ১৯ টাকা ৪০ পয়সা। ডিভিডেন্ড হিসাব করে অ্যাডজাস্টেড দাম দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৫৫ পয়সায়, যা বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সঙ্গে মিল রেখে ঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বাজারে। যদিও দিন শেষে শেয়ারটি ক্লোজ করে ১৬ টাকা ৯০ পয়সায়—যা অ্যাডজাস্টেড দামের তুলনায় সামান্য উর্ধ্বমুখী।

এ থেকে বোঝা যায়, বাজারে শেয়ারদামের এ ‘পতন’ আসলে প্রকৃত দরপতন নয়, বরং এটি ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত টেকনিক্যাল সমন্বয়ের ফল। অনেক বিনিয়োগকারী বিষয়টি না বুঝেই আতঙ্কিত হতে পারেন, যদিও এটি ছিল এক ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়।

যমুনা ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিকের ইতিবাচক আয় ও ডিভিডেন্ড পলিসি এই মুহূর্তে কোম্পানিটির মৌলিক শক্তিকে তুলে ধরছে। তবে বাজারে মন্দা পরিস্থিতি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকটের কারণে এমন মৌলভিত্তির শেয়ারটিও দরপতনের শিকার হয়েছে— একে সামগ্রিক বাজার পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবি হিসেবেই দেখা যেতে পারে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে