ঢাকা, রবিবার, ৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের পিএইচডি ডিগ্রি ভুয়া

২০২৫ মে ০৪ ১২:১৮:৪৩
সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের পিএইচডি ডিগ্রি ভুয়া

ডুয়া ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের পিএইচডি ডিগ্রি ভুয়া বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, তুরিন আফরোজ ওই প্রতিষ্ঠানে পিএইচডি সম্পন্ন করেননি। এ সংক্রান্ত প্রমাণ সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

রোববার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একটি বাড়ি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হায়দার। এর আগে, ১৩ মার্চ শুনানিতে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক আদালতে বলেন, তুরিন আফরোজ প্রসিকিউটর থাকাকালীন সময়ে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং নিজের মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। তিনি শামসুন্নাহার বেগমকে পুনরায় উত্তরার বাড়িতে থাকার সুযোগ দিতে আদালতের নির্দেশনা চান।

বিতর্কের মূল কেন্দ্র রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর প্লটের একটি পাঁচতলা বাড়ি, যেখানে শামসুন্নাহার বেগম ও তার ছেলে শাহনেওয়াজ আহমেদ ২০০২ সাল থেকে বসবাস করে আসছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৭ সালে তুরিন আফরোজ তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে উভয় পক্ষই মালিকানা ও দখল নিয়ে পৃথক দেওয়ানি মামলা দায়ের করে। ২০১৮ সালে আদালত 'স্থিতাবস্থা' বজায় রাখার নির্দেশ দেন, যা পরবর্তীতে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ হয়।

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি ‘স্থিতাবস্থা’র আদেশ বাতিল করেন। এর ফলে শামসুন্নাহার বেগম ও শাহনেওয়াজ আহমেদ বাড়িতে বসবাসের আইনগত অধিকার ফিরে পান।

তুরিন আফরোজ দাবি করেছেন, ১৯৯১ সালে তার মা জমিটি কিনেছিলেন এবং ১৯৯৪ সালে তা তাকে হেবা (দানপত্র) হিসেবে দিয়েছেন। তবে শামসুন্নাহার ও শাহনেওয়াজ আদালতে লিখিত জবাবে বলেন, জমি হেবা করা হয়নি বরং ১৯৯৭ সালে সেটি ছেলে শাহনেওয়াজকে দান করা হয়।

১৯৯৯ সালে ওই জমির নামজারি করে হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন থেকে ২৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে রাজউকের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী বাড়ি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে বাড়ির মালিকানা নিয়ে দুটি দেওয়ানি মামলা বিচারিক আদালতে চলমান রয়েছে।

শেয়ারবাজারে আলোচিত এই সাবেক প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে ডিগ্রি জালিয়াতির অভিযোগ তার পেশাগত ও সামাজিক অবস্থানকে গভীর সংকটে ফেলতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে