ঢাকা, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২
এশিয়ার নবম বৃহত্তম অর্থনীতি বাংলাদেশ
ডুয়া ডেস্ক: কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিশ্বের প্রায় সব দেশই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার বাইরে ছিল না বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোও। তবে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে দ্রুত সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বর্তমানে এশিয়ার নবম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে অবস্থান করছে। এই তালিকায় চীন ও ভারতের মতো দেশ থাকলেও জাপানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জিডপির আকার বর্তমানে ৪৫০.৫ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ৪৫ হাজার ৫০ কোটি ডলার। তবে জাপানকে যদি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হতো, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থান এক ধাপ পিছিয়ে যেত।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ‘২০২৫ বেসিক স্ট্যাটিস্টিকস’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের আগে থাকা দেশগুলো হল—চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইন। এছাড়া, এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর জিডিপি অত্যন্ত কম। পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপি অনেক এগিয়ে। এমনকি বাংলাদেশের জিডিপি এশিয়ার অন্যতম উন্নয়নশীল দেশ মালয়েশিয়ার চেয়েও বেশি।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৭ শতাংশ, যা এশিয়ার শীর্ষ ১০ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তবে মাথাপিচু আয়ের দিক থেকে এশিয়ার এই ৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। কেবল ভারতই বাংলাদেশের চেয়ে কম মাথাপিচু আয় নিয়ে রয়েছে। ভারতের মাথাপিচু আয় ২ হাজার ৫৪০ ডলার এবং বাংলাদেশের ২ হাজার ৮৮০ ডলার।
দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেলেও এখনো বিপুল পরিমাণ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে দেশের ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। মজার ব্যাপার হলো, এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতির দুই দেশ চীন ও ভারত এই দারিদ্র্যসীমার বিষয়ে কোনো তথ্যই প্রকাশ করেনি।
গার্মেন্টস খাতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের জিডিপি বাংলাদেশের চেয়ে সামান্য বেশি, ৪৭৬.৩ বিলিয়ন ডলার। ভিয়েতনামের মূল্যস্ফীতির হার ৩.৬ শতাংশ এবং সেখানে মাত্র ৩.৪ শতাংশ মানুষ জাতীয় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। ২০২৪ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ১, যেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪ দশমিক ২। কেবল তা-ই নয়, এই শীর্ষ ৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম।
এডিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ছিল ৭১.১৯৫ বিলিয়ন ডলার, যা মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিএনআই-২০২৩) ১২.৬ শতাংশ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কেডিএস এক্সেসরিজ
- খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে শেয়ারবাজার, অসহায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু ফেব্রিক্স
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার টেক্সটাইল
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি সরাসরি ফ্রিতে দেখুন(LIVE)
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ১৯ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া:কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন লাইভ
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ২১ দাবিতে নতুন বেতন কাঠামোর প্রস্তাব, সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি সরাসরি দেখুন(LIVE)
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শমরিতা হাসপাতাল
- লাফার্জহোলসিমের অন্তর্বর্তীকালিন ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের তালিকায় যুক্ত হলো আরও এক বন্ধ কোম্পানি
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বিএসইসির