ঢাকা, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২
এশিয়ার নবম বৃহত্তম অর্থনীতি বাংলাদেশ

ডুয়া ডেস্ক: কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিশ্বের প্রায় সব দেশই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার বাইরে ছিল না বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোও। তবে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে দ্রুত সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বর্তমানে এশিয়ার নবম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে অবস্থান করছে। এই তালিকায় চীন ও ভারতের মতো দেশ থাকলেও জাপানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জিডপির আকার বর্তমানে ৪৫০.৫ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ৪৫ হাজার ৫০ কোটি ডলার। তবে জাপানকে যদি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হতো, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থান এক ধাপ পিছিয়ে যেত।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ‘২০২৫ বেসিক স্ট্যাটিস্টিকস’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের আগে থাকা দেশগুলো হল—চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইন। এছাড়া, এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর জিডিপি অত্যন্ত কম। পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপি অনেক এগিয়ে। এমনকি বাংলাদেশের জিডিপি এশিয়ার অন্যতম উন্নয়নশীল দেশ মালয়েশিয়ার চেয়েও বেশি।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৭ শতাংশ, যা এশিয়ার শীর্ষ ১০ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তবে মাথাপিচু আয়ের দিক থেকে এশিয়ার এই ৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। কেবল ভারতই বাংলাদেশের চেয়ে কম মাথাপিচু আয় নিয়ে রয়েছে। ভারতের মাথাপিচু আয় ২ হাজার ৫৪০ ডলার এবং বাংলাদেশের ২ হাজার ৮৮০ ডলার।
দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেলেও এখনো বিপুল পরিমাণ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে দেশের ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। মজার ব্যাপার হলো, এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতির দুই দেশ চীন ও ভারত এই দারিদ্র্যসীমার বিষয়ে কোনো তথ্যই প্রকাশ করেনি।
গার্মেন্টস খাতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের জিডিপি বাংলাদেশের চেয়ে সামান্য বেশি, ৪৭৬.৩ বিলিয়ন ডলার। ভিয়েতনামের মূল্যস্ফীতির হার ৩.৬ শতাংশ এবং সেখানে মাত্র ৩.৪ শতাংশ মানুষ জাতীয় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। ২০২৪ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ১, যেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪ দশমিক ২। কেবল তা-ই নয়, এই শীর্ষ ৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম।
এডিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ছিল ৭১.১৯৫ বিলিয়ন ডলার, যা মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিএনআই-২০২৩) ১২.৬ শতাংশ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে