ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২
এশিয়ার নবম বৃহত্তম অর্থনীতি বাংলাদেশ

ডুয়া ডেস্ক: কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিশ্বের প্রায় সব দেশই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার বাইরে ছিল না বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোও। তবে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে দ্রুত সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বর্তমানে এশিয়ার নবম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে অবস্থান করছে। এই তালিকায় চীন ও ভারতের মতো দেশ থাকলেও জাপানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জিডপির আকার বর্তমানে ৪৫০.৫ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ৪৫ হাজার ৫০ কোটি ডলার। তবে জাপানকে যদি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হতো, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থান এক ধাপ পিছিয়ে যেত।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ‘২০২৫ বেসিক স্ট্যাটিস্টিকস’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের আগে থাকা দেশগুলো হল—চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইন। এছাড়া, এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর জিডিপি অত্যন্ত কম। পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপি অনেক এগিয়ে। এমনকি বাংলাদেশের জিডিপি এশিয়ার অন্যতম উন্নয়নশীল দেশ মালয়েশিয়ার চেয়েও বেশি।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৭ শতাংশ, যা এশিয়ার শীর্ষ ১০ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তবে মাথাপিচু আয়ের দিক থেকে এশিয়ার এই ৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। কেবল ভারতই বাংলাদেশের চেয়ে কম মাথাপিচু আয় নিয়ে রয়েছে। ভারতের মাথাপিচু আয় ২ হাজার ৫৪০ ডলার এবং বাংলাদেশের ২ হাজার ৮৮০ ডলার।
দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেলেও এখনো বিপুল পরিমাণ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে দেশের ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। মজার ব্যাপার হলো, এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতির দুই দেশ চীন ও ভারত এই দারিদ্র্যসীমার বিষয়ে কোনো তথ্যই প্রকাশ করেনি।
গার্মেন্টস খাতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের জিডিপি বাংলাদেশের চেয়ে সামান্য বেশি, ৪৭৬.৩ বিলিয়ন ডলার। ভিয়েতনামের মূল্যস্ফীতির হার ৩.৬ শতাংশ এবং সেখানে মাত্র ৩.৪ শতাংশ মানুষ জাতীয় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। ২০২৪ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ১, যেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪ দশমিক ২। কেবল তা-ই নয়, এই শীর্ষ ৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম।
এডিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ছিল ৭১.১৯৫ বিলিয়ন ডলার, যা মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিএনআই-২০২৩) ১২.৬ শতাংশ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- ঢাবির জিয়া হলে ‘ক্যারিয়ার টক’ অনুষ্ঠিত
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা