ঢাকা, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

গণভোট সংক্রান্ত পদক্ষেপ অধ্যাদেশ জারির পর: সিইসি

২০২৫ নভেম্বর ১৯ ১৯:৫৭:২৫

গণভোট সংক্রান্ত পদক্ষেপ অধ্যাদেশ জারির পর: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোটের ঘোষণা দিলেও, অধ্যাদেশ (আইন) প্রবর্তিত হওয়ার পরই এর প্রক্রিয়া ও করণীয় নির্ধারণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

বুধবার ইসির ধারাবাহিক নির্বাচনি সংলাপের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় পর্বের সমাপনী বক্তব্যে সিইসি এই তথ্য জানান। সংলাপে রাজনীতিবিদরা বারবার গণভোট সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেন।

সংলাপে সিইসির সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য চারজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি) ও বাসদ মার্কসবাদীসহ মোট ছয়টি দলের সঙ্গে দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত আলোচনা সম্পন্ন হয়। এর আগে চার দিনে ৪৮টি দলের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংলাপ শেষে সমাপনী বক্তব্যে সিইসি বলেন, গণভোটের আইন প্রণয়ন হওয়ার পরই আমরা এই বিষয়ে দায়িত্বশীলভাবে কার্যক্রম শুরু করতে পারব। এখনো এ ব্যাপারে আমি বিস্তারিত বক্তব্য দিতে পারছি না। তবে রাজনীতিবিদরা নানা প্রশ্ন করছেন—কীভাবে ভোট গ্রহণ হবে, কতটা অংশগ্রহণ হবে ইত্যাদি। এই সব চিন্তাভাবনা আমরা আইন প্রবর্তনের পর সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করব।

তিনি আরও বলেন, রেফারেন্ডামের বিষয়ে আইন থাকা প্রয়োজন। আইন প্রণয়ন হলে ইসিকে স্পষ্টভাবে বলা হবে কোন বিষয়ে গণভোট হবে এবং কীভাবে তা পরিচালিত হবে। আমাদের ইলেকশন পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তবে সব পরিকল্পনা দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নেওয়া হবে।

সিইসি সংযোজন করেন, সব কিছু বিবেচনায় রেখে আমরা ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছি। কথা কম, কাজ বেশি—এই নীতি মেনে আমরা এখন পর্যন্ত সফলভাবে কাজ পরিচালনা করতে পেরেছি।

কেএমএ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত