ঢাকা, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২

মিত্রদের ৪০টি আসনে ছাড় দিতে পারে বিএনপি

২০২৫ নভেম্বর ০৭ ১৬:৪১:০৯

মিত্রদের ৪০টি আসনে ছাড় দিতে পারে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক :ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি ইতোমধ্যেই ২৩৭টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে, যেখানে তারা ভোটের দৌড়ে এগিয়ে আছে। বাকি ৬৩টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। দলের পক্ষ থেকে জানা গেছে, কিছু আসন তাঁদের ত্যাগী ও গ্রহণযোগ্য নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে, আর কিছু আসন নিয়ে মিত্র রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনাও চলছে। বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ৪০টি আসনে মিত্রদের ছাড় দিতে পারে বিএনপি।

বিএনপি নির্বাচনের সঙ্গী হিসেবে যুগপৎ আন্দোলনের দলগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছে। বিশেষভাবে তরুণদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকেও দলটি গুরুত্ব দিচ্ছে। দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও দরকষাকষি চলছে। তবে ঢাকার ফাঁকা আসনগুলোর মধ্যে কতটি আসন ছাড় দেওয়া হবে, সেটিই এখন সবার নজরের বিষয়। এই আসনগুলোর জন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হাল ছাড়ছেন না এবং দাবি করছেন, সঠিক মূল্যায়ন হলে তারা মনোনয়ন তালিকায় স্থান পাবেন। শেষ মুহূর্তে তারা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ে নামবেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, “যে দলগুলো আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছে, তাদের নেতাদের আগ্রহী আসনে আমরা কোনো প্রার্থী দিইনি। তারা যখন নিজেদের নাম ঘোষণা করবে, তখন আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”

এদিকে, বিএনপির সঙ্গে এনসিপির সম্ভাব্য নির্বাচনি জোট বা আসন সমঝোতা নিয়েও আলোচনা চলছে। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, এখনও কোন আসন বা কতটি আসন তারা চাইবেন, সেই বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, জোট বা সমঝোতা রাজনৈতিক ও আদর্শিক ভিত্তিতে হতে পারে। জুলাই সনদ ও সংস্কারের দাবির সঙ্গে কোনো দল ঐক্যবদ্ধ হলে জোটের বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে, তবে আপাতত তারা এককভাবে এগোচ্ছেন।

ঢাকা-১৩ আসনে কিছু দিন ধরে প্রচারণা চালাচ্ছেন এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। তিনি জানিয়েছেন, জোট ঘোষণা অফিসিয়ালি হলে প্রার্থীও একসঙ্গে ঘোষণা করা হবে। ঢাকার গুলশান-বনানী এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির নেতা আন্দালিব রহমান পার্থ। সূত্র বলছে, ঢাকার আরও তিনটি আসন ছাড়তে পারে বিএনপি। বিশেষ করে ঢাকার ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী), ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি) ও ঢাকা-১৮ (উত্তরা) আসন গুরুত্বপূর্ণ।

মিত্র দলের ১৪ শীর্ষ নেতার আসনে বিএনপি এখনও প্রার্থী দেয়নি। এর মধ্যে রয়েছে পিরোজপুর-১ (মোস্তফা জামাল হায়দার), বগুড়া-২ (মাহমুদুর রহমান মান্না), ঢাকা-১৭ (আন্দালিব রহমান পার্থ), লক্ষ্মীপুর-১ (শাহাদাত হোসেন সেলিম), কিশোরগঞ্জ-৫ (সৈয়দ এহসানুল হুদা), লক্ষ্মীপুর-৪ (তানিয়া রব), ঢাকা-১৩ (ববি হাজ্জাজ), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (জোনায়েদ সাকি), চট্টগ্রাম-১৪ (ওমর ফারুক), কুমিল্লা-৭ (ড. রেদোয়ান আহমেদ), নড়াইল-২ (ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ), পটুয়াখালী-৩ (নুরুল হক নুর), ঝিনাইদহ-২ (রাশেদ খান) ও ঝালকাঠি-১ (ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান)।

জোটের অংশ গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি জানিয়েছেন, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নির্বাচন করবেন। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানও জানিয়েছেন, জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। বিএনপি সকল হিসাব-নিকাশের ভিত্তিতে আসন ছাড় ও সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেবে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত