ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২
ঢাবি দর্শন বিভাগ নিজেই একটি ইনস্টিটিউট: উপাচার্য

ডুয়া নিউজ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ নিজেই একটি ইনস্টিটিউট বলে মন্তব্য করেছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
আজ শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন- ডুপডা কর্তৃক আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, দর্শন বিভাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা, পরিক্রমা একসাথে। দর্শন বিভাগ নিজেই একটা ইনস্টিটিউট। এই বিবেচনায় আপনারা একসাথে হয়েছেন, পরিবারের আরও সদস্যদিরে নিয়ে এসেছেন এজন্য ভালো লাগছে।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, আমি জানতে পেরেছি আজ ১৯৭০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়েছেন। অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়েও এসেছেন। এটা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দ বোধ করছি। আপনাদের সবার প্রতি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও অভিবাদন জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এই ধরণের একটি আয়োজন খুব সহজে করা যায় না। অনেক মানুষের পরিশ্রম থাকে। পর্দার আড়ালে, পর্দার সামনে, বহু দল, বহু গ্রুপের অবদান থাকতে হয়। আমি ডুবডার সকল সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সাম্প্রতিক সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন, তাদের প্রতি অভিবাদন।
তিনি বলেন, একটা কথা পরিষ্কার বুঝতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা জরুরি। আপনাকে আমার দরকার, তেমনি আমাকেও আপনাদের দরকার। একটা বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে পরিচালনা করতে গেলে, সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও, একটা বড় মাপের জাতীয় প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য যে পরিশ্রম, যে পরামর্শ দরকার, তা সরকারের পক্ষে এককভাবে সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, আমি যত সরকারের প্রতি নির্ভর হবো, ততোই আমার মেরুদণ্ড বাঁকা হতে থাকবে। আমাকে যদি মেরুদণ্ড শক্ত করে দাঁড়াতে হয়, আমাকে আপনার সাথে চলতে হবে। অ্যালামনাইদেরকে নিয়ে আমাদের পথচলা। সরকার নির্ভরতা কমাতে হবে। এটি সরকারের জন্য ভালো, আমাদের জন্যও ভালো।
উপাচার্য বলেন, বহুদিনের বিভাজনের রাজনীতি আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কম্প্রোমাইজড হয়েছে, তাই এ জাতীয় আয়োজন আমাদেরকে শক্তিশালী করবে।
তিনি আরও বলেন, এ জাতীয় আয়োজন আমাদেরকে একত্রিত করে। দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে একটা কমন পরিচয়নির্ধারণ করে যে এটি দর্শন বিভাগ, এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এটি আমাদের আলমা-মেটার, আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসি- এই কমন পরিচয় আমাদেরকে এখানে নিয়ে এসেছে।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, এখন কোনো কিছুই স্বাভাবিক না। আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, এজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমি খুব আন্তরিকভাবে চাই অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হোক। আপনারা আমাদেরনিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হোন। আপনারাআসুন, কথা বলুন, আমাদেরকে পরামর্শ দিন।
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমাদের অনেক রাগ-ক্ষোভ থাকতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে আমাদের যাবতীয় রাগ-ক্ষোভ গলে পড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন খারাপ খবরে আমাদের খারাপ লাগে, কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমাদেরভালোবাসা আছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু এবং সদস্য সচিব এটিএম আবদুল বারী ড্যানী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক সুলতানা মুনীরা জাহান।
অনুষ্ঠানে ঢাবি দর্শন বিভাগের ১৯৭০ সাল থেকে শুরু করে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ডুপডার সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- মিরাকেলের বিরুদ্ধে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন করার অভিযোগ
- বড় পতনের মধ্যেও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের নতুন ঢেউ