ঢাকা, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২

একীভূত নীতি পেলে রিয়েল এস্টেট হবে জিডিপির ইঞ্জিন

২০২৫ অক্টোবর ১১ ০০:৪১:৫২

একীভূত নীতি পেলে রিয়েল এস্টেট হবে জিডিপির ইঞ্জিন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অর্থনীতিতে রিয়েল এস্টেট খাতের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তারা বলছেন, সঠিক নীতি, স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে আগামীতে এই খাত জিডিপিতে আরও বড় ভূমিকা রাখবে।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আইসিএমএবি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘ডিবিসি প্রোএক্সচেঞ্জ ক্রস-সেক্টর লার্নিং হাব: রিয়েল এস্টেট ও বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল বিষয়ক ব্যবসায়িক প্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এই মত দেন।

খাতের গুরুত্ব ও বর্তমান চিত্র:

বক্তাদের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় ১৪০০টিরও বেশি কোম্পানি রিয়েল এস্টেট খাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং এটি দেশের জিডিপিতে প্রায় ১৮ শতাংশ অবদান রাখছে। মানুষের মৌলিক চাহিদা হিসেবে আবাসন খাতের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে।

আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (অপারেশন) মোহাম্মদ তানভীরুল ইসলাম জানান, ১৯৮০-এর দশক থেকে যাত্রা শুরু করা এই খাত আজ দেশের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি। ইস্টার্ন হাউজিং ছিল এই খাতের পথিকৃৎ।

চ্যালেঞ্জ ও কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন:

সেমিনারে বক্তারা রিয়েল এস্টেট খাতের অগ্রগতির পথে থাকা প্রধান বাধাগুলো চিহ্নিত করেন। এই চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে:

১) সরকারি অনুমোদনের জটিলতা: প্রকল্পের অনুমোদন পেতে দীর্ঘসূত্রিতা।

২) আর্থিক চাপ: উচ্চ ট্যাক্স ও রেজিস্ট্রেশন ব্যয় এবং ব্যাংক সুদের উচ্চ হার।

৩) বাজারের অস্থিরতা: নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি।

৪) স্বচ্ছতার অভাব: কিছু প্রতিষ্ঠানের অস্বচ্ছতা।

তানভীরুল ইসলাম বলেন, একটি প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি, ডিজাইন, অনুমোদন, নির্মাণ এবং হ্যান্ডওভার প্রতিটি ধাপে দক্ষ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য।

প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও কস্ট ম্যানেজমেন্ট:

রিয়েল এস্টেট উন্নয়নের প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এডিসন রিয়েল এস্টেটের অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, জমি নির্বাচন থেকে শুরু করে আর্কিটেকচারাল কনসেপ্ট, স্ট্রাকচারাল, ইলেকট্রিক্যাল ও প্লাম্বিং ডিজাইন প্রতিটি ধাপেই কাজের সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। সমন্বয়ের অভাব প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা বাড়ায়।

সাইফুল ইসলাম কস্ট ম্যানেজমেন্টকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, উপকরণ, এলসি, ট্যাক্স ও নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে খরচ কমানোর সুযোগ তৈরি করতে হবে। একটি প্রকল্পের সাফল্য সময়, খরচ, মান (কোয়ালিটি) এবং নিরাপত্তা (সেফটি) এই চারটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। ফায়ার সেফটি ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা মানবজীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সেমিনারে ব্যবসা কৌশল, বিক্রি ও মার্কেটিং, কাস্টমার সার্ভিস, নৈতিকতা, নির্মাণ, কমপ্লায়েন্স এবং কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে আইসিএমএবি-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. কাউসার আলম ও চেয়ারম্যান এস এম শাওন মাহমুদ, প্রোএক্সচেঞ্জ লার্নিং হাব-এর মডারেটর মো. মোকলেসুর রহমান, র‌্যাংকস প্রপার্টিজ লিমিটেডের আবদুল্লাহ আল ফারাবি এবং নাভানা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের সাজেদুল হকও বক্তব্য রাখেন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

আজকের (১০ অক্টোবর) মুদ্রা বিনিময় হার

আজকের (১০ অক্টোবর) মুদ্রা বিনিময় হার

ডুয়া ডেস্ক: বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি মুদ্রার সঙ্গে টাকার বিনিময় হারও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনের লেনদেনে ব্যবসায়ী... বিস্তারিত