ঢাকা, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

পাইপলাইনে যাচ্ছে বিমানের জ্বালানি: পদ্মা ওয়েলের সফলতা

আবু তাহের নয়ন:
আবু তাহের নয়ন:

সিনিয়র রিপোর্টার

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ২১:৫৪:৫৩

পাইপলাইনে যাচ্ছে বিমানের জ্বালানি: পদ্মা ওয়েলের সফলতা

আবু তাহের নয়ন: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড আগামীকাল (২৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং জহুরুল হক বিমান ঘাঁটিতে সরাসরি জেট জ্বালানি সরবরাহের জন্য পাইপলাইন উদ্বোধন করবে।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ৫.৭৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইনটি দেশের প্রধান জ্বালানি ডিপো থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত। পদ্মা অয়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আট ইঞ্চি ব্যাসের এই পাইপলাইন প্রতি ঘণ্টায় ১৪০ ঘনমিটার জেট জ্বালানি পরিবহন করতে সক্ষম। ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে 'জেট এ-১ পাইপলাইন ফ্রম এমআই টু শাহ আমানত ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, চট্টগ্রাম' শীর্ষক এই প্রকল্পের কয়েকটি পরীক্ষামূলক কার্যক্রম ইতোমধ্যেই সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

প্রকল্পটির কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল, তবে গত ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ শুরু হওয়া কাজটি নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই শেষ হয়েছে। এতে প্রায় ১১ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানির প্রকল্প পরিচালক এবং সহকারী মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী অনুপ কুমার বড়ুয়া জানান, শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণকারী উড়োজাহাজে নিরবচ্ছিন্ন এবং নিরাপদ জেট জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে এই পাইপলাইনটি নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “সঠিক পরিকল্পনার কারণে আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজটি শেষ করতে পেরেছি, যা আমাদের প্রকল্পের বাজেটও সাশ্রয় করেছে।”

বর্তমানে শাহ আমানত বিমানবন্দরে দৈনিক গড়ে ২০০,০০০-২৫০,০০০ লিটার জেট জ্বালানির প্রয়োজন হয়, যা হজের সময় ৩০০,০০০ লিটারে পৌঁছায়। এখন পর্যন্ত পদ্মা অয়েলের পতেঙ্গা ডিপো থেকে প্রতিদিন ১০-১২টি ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে বিমানবন্দরে জেট জ্বালানি পরিবহন করা হয়। এই পাইপলাইন চালু হলে বিমানবন্দরের পুরো দৈনিক চাহিদা মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই পূরণ করা যাবে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান জানান, দেশের বিমানবন্দরগুলোতে প্রয়োজনীয় জেট জ্বালানি তাদের বিভিন্ন ডিপো থেকেই সরবরাহ করা হয়। তিনি বলেন, “জ্বালানি পরিবহনে আধুনিকতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল।” তিনি আরও জানান, এই পাইপলাইনটি চালু হলে পদ্মা অয়েলের বছরে প্রায় ৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে, যা আগে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জ্বালানি পরিবহনে ব্যয় হতো।

এএসএম/

শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত