ঢাকা, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২

নির্বাচন নির্ধারিত টাইমলাইনে হতেই হবে: সালাহউদ্দিন

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ ১৯:২০:৪৫

নির্বাচন নির্ধারিত টাইমলাইনে হতেই হবে: সালাহউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে তা 'রিজিওনাল সিকিউরিটির জন্য থ্রেট' হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেছেন যে, সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন কোনোভাবেই একে অপরের সাথে সম্পর্কিত নয় এবং 'নির্ধারিত টাইমলাইনে নির্বাচন হতেই হবে'।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকটি 'জুলাই সনদ' বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

সালাহউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন যে, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচারে কোনো সময়সীমা আরোপ করা অবিচার হবে। তিনি আরও বলেন, তারা ৮২৬টি ছোট-বড় সংস্কার প্রস্তাব পেয়েছেন, যার মধ্যে ১৯টি মৌলিক বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। ৫১টি প্রস্তাবে তারা দ্বিমত করেছেন এবং ১১৫টি প্রস্তাবে মতামতসহ ভিন্নমত দিয়েছেন। প্রায় ৮৪৫টি সংস্কার প্রস্তাবে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়েছে।

তিনি ১৯টি সাংবিধানিক ইস্যু বাকি থাকার কথা তুলে ধরে বলেন, কিছু কিছু বিষয়ে 'নোট অব ডিসেন্ট' সহ তারা একমত হয়েছেন। বিশেষ করে, ৭০ অনুচ্ছেদের ৪টি বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা না থাকলে ভালো হয় বলে তাদের বিবেচনায় এসেছে। সর্বনিম্ন দুটি বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন এবং 'নোট অব ডিসেন্ট'-এর ভাষা উল্লেখ করে সনদ তৈরি হচ্ছে, যাতে তারা স্বাক্ষর করবেন। যারা জনগণের ম্যান্ডেট পাবে, তারা তাদের 'নোট অব ডিসেন্ট' রক্ষা করে তা বাস্তবায়ন করবে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুই-তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া বাকিগুলো খুবই সাধারণ এবং বাস্তবায়ন সহজ। তবে সাংবিধানিক বিষয়গুলো পরবর্তী সংসদ ছাড়া অন্য কোনো ফোরাম করতে পারে কিনা, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনি পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

'ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য' ধরে রাখা এবং শক্তিতে রূপান্তরিত করতে আরও বেশি নেগোসিয়েট করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তারা আপস করবেন এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কোনো পন্থা বের করতে পারলে তাতে একমত হবেন। তিনি চূড়ান্ত জুলাই সনদে কিছু 'ক্লারিক্যাল মিসটেক' এবং 'কিছুটা বিভ্রান্তি' থাকার কথা উল্লেখ করে সেগুলো সংশোধনের কথা বলেন, কারণ এটি একটি 'জাতীয় দলিল, রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল, ঐতিহাসিক দলিল' হবে, তাই এটি নির্ভুল হওয়া বাঞ্ছনীয়।

আইনি ভিত্তি ছাড়া সনদে স্বাক্ষর না করার বিষয়ে কয়েকটি দলের অবস্থানের কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইনি ভিত্তি নিয়ে আলোচনা হলে তারা তাতে অংশ নেবেন। আপিল বিভাগের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে যে, এটি 'এক্সট্রা কনিস্টিটিউশনাল অর্ডার' বা 'স্পেশাল কনিস্টিটিউশনাল অর্ডার' করা যায় কিনা।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, গত ১৫ বছরে বিএনপি সবচেয়ে বেশি অবিচারের শিকার হয়েছে এবং বিচার চলবে, কিন্তু নির্বাচনকে এর শর্ত করা যাবে না। যদি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে কোনো অনিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যা ফ্যাসিবাদ চেষ্টা করছে, তাহলে তা 'জাতীয় নিরাপত্তার জন্য' এবং 'রিজিওনাল সিকিউরিটির জন্য থ্রেট' হতে পারে। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, 'নির্ধারিত টাইমলাইনে নির্বাচন হতে হবে।'

এসপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত