ঢাকা, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২
তের খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের মূলধন বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদায়ী সপ্তাহে (৩১ আগস্ট-০৪ সেপ্টেম্বর) শেয়ারাবাজারের জন্য খুবই ইতিবাচক ছিল। সপ্তাহজুড়ে সূচক ও লেনদেন কমার তুলনায় বেশি বেড়েছে। এর ফলে সপ্তাহজুড়ে সূচকের পাশাপাশি টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানির দর। এর ফলে বাজার মূলধন বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। সপ্তাহটিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন আগের সপ্তাহের তুলনায় ৯ হাজার ৪৩৬ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা বা ১.৩১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ কোটি ৮৯ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহজুড়ে বিনিয়োগকারীরা ৪৩৬ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা পুঁজি ফেরত পেয়েছে। যার মধ্যে ১৩ খাত থেকে সর্বোচ্চ পুঁজি ফিরে এসেছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বোচ্চ পুঁজি ফিরে আসা খাতগুলো হলো- ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন, টেলিকমিউনিকেশন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রকৌশল, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, বিবিধ, বস্ত্র, আর্থিক, সিমেন্ট, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং ভ্রমণ ও অবকাশ।
খাতগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে সর্বোচ্চ পুঁজি ফিরে এসেছে। সপ্তাহজুড়ে এ খাতে মুলধন দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ২৮২ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা মোট বাজার মুলধনের ১৯.৬০ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুঁজি ওষুধ ও রসায়ন খাতের মাধ্যমে ফিরে এসেছে। আলোচ্য সপ্তাহে খাতটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ২৮৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার। যা ছিল মোট বাজার মূলধনের ১৬.১০ শতাংশ।
তৃতীয় সর্বোচ্চ টেলিকমিউনিকেশন খাতের মাধ্যমে ৫৯ হাজার ১০৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার পুঁজি ফিরে এসেছে, যা মোট বাজার মূলধনের ১৫.৮০ শতাংশ।
অন্য খাতগুলোর মধ্যে-
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৬৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা মোট বাজার মলধনের ৮.৫০ শতাংশ।
প্রকৌশল খাতের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ২২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা মোট বাজার মলধনের ৮.১০ শতাংশ।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮২০ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট বাজার মলধনের ৭.৫০ শতাংশ।
বিবিধ খাতের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ১৭৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা মোট বাজার মলধনের ৬.২০ শতাংশ।
বস্ত্র খাতের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮৯০ কোটি ৭ লাখ টাকা, যা মোট বাজার মলধনের ৩.৫০ শতাংশ।
আর্থিক খাতের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮৭২ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট বাজার মলধনের ২.৯০ শতাংশ।
সিমেন্ট খাতের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা মোট বাজার মলধনের ২.৭০ শতাংশ।
জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা মোট বাজার মলধনের ২.৩০ শতাংশ।
লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা মোট বাজার মলধনের ১.৬০ শতাংশ।
ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা মোট বাজার মলধনের ১.১০ শতাংশ।
এসকে/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা