ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২
দুই খাতের ৭ শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ফারইস্ট ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, পিপলস লিজিং, জিএসপি ফাইন্যান্স, রিজেন্ট টেক্সটাইল, এইচআর টেক্সটাইল এবং সাফকো স্পিনিং। এছাড়া আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, বিকন ফার্মা ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকও উল্লেখযোগ্য দরপতন দেখা গেছে।
তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে চারটি আর্থিক খাতের (ফারইস্ট ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, পিপলস লিজিং ও জিএসপি ফাইন্যান্স) এবং তিনটি বস্ত্র খাতের (রিজেন্ট টেক্সটাইল, এইচআর টেক্সটাইল, সাফকো স্পিনিং)। কোম্পানিগুলোর মধ্যে আর্থিক খাতের দর কমেছে ২০ শতাংশ থেকে ১১.৪৩ শতাংশ পর্যন্ত, আর বস্ত্র খাতের শেয়ারগুলো ১১.১১ শতাংশ থেকে ৭.৮৮ শতাংশ পর্যন্ত দর নেমেছে।
ফারইস্ট ফাইন্যান্স সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির ২০ শতাংশ দর কমেছে। প্রাইম ফাইন্যান্সের দর কমেছে ১৪.২৯ শতাংশ, পিপলস লিজিংয়ের ১৩.৩৩ শতাংশ, আর জিএসপি ফাইন্যান্সের ১১.৪৩ শতাংশ। বস্ত্র খাতের রিজেন্ট টেক্সটাইল ১১.১১ শতাংশ, এইচআর টেক্সটাইল ১০.৮৬ শতাংশ, এবং সাফকো স্পিনিং ৭.৮৮ শতাংশ পতন হয়েছে।
যদিও দরপতন বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা, তবু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য একটি সুযোগও দিতে পারে। পতিত দামের শেয়ারগুলো পুনঃমূল্যায়নের মাধ্যমে লাভের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে বস্ত্র খাতের শেয়ারগুলো সম্প্রতি মিশ্র প্রবণতায় ছিল, যা বাজারে স্থিতিশীলতার একটি ইঙ্গিতও দিতে পারে।
আর্থিক খাতের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক দরপতন বিশেষভাবে উদ্বেগ তৈরি করছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনেকেই কিছু কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে—এমন আতঙ্কের কারণে শেয়ার দর কমছে। এর পেছনে আরও কারণ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাওয়া, বাজারের সমীকরণে পরিবর্তন এবং কোম্পানিগুলোর নেতিবাচাক আর্থিক ফলাফলের প্রভাবকে দেখা হচ্ছে।
তবে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি পজিটিভ সিগন্যাল দিতে পারে। দর সামান্য কমলেও উৎপাদন ও রফতানি খাতের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি শেয়ারগুলোকে পুনরায় তুলে ধরতে পারে। বিশেষ করে সাফকো স্পিনিংয়ের দর কমেছে তুলনামূলকভাবে কম, যা বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধরে রাখার সুযোগ দিচ্ছে। আর এইচআর টেক্সটাইল পর পর দুই বছর ডিভিডেন্ড না দেওয়ার কারণে জেড গ্রুপে স্থানান্তরিত হয়েছে-এমন খবরে পতনের ধাক্কায় পড়েছে।
তবে আলোচ্য ৭ কোম্পানিই জেড গ্রুপের সদস্য। অর্থাৎ কোম্পানিগুলো বছরের পর বছর বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিচ্ছে না। তাই কোম্পানিগুলোর স্থান হয়েছে জেড ক্যাটাগরিতে। তবে কোম্পানিগুলোর আর্থিক পারফরমেন্স যদি ভালো হয় , তাহলে কোম্পানিগুলোর শেয়ার বড় আকারে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার