ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
আবু সাঈদ হত্যা মামলা: আসামি পুলিশ কর্মকর্তা ভারতে গ্রেপ্তার
.jpg)
সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশ পুলিশের এক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুজ্জামানকে আটক করেছে। তিনি শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার হাকিমপুর সীমান্ত চৌকির কাছ থেকে বিএসএফ তাকে আটক করে।
বিএসএফ জানায়, সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে নিয়মিত টহলের সময় তাকে সীমান্ত পেরোতে দেখে আটক করা হয়। এরপর ভারতের ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪(এ) ধারা এবং পাসপোর্ট আইনের ১২ ধারায় মামলা করা হয়। রোববার (২৪ আগস্ট) বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, আরিফুজ্জামান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি নীলফামারীর শাহীপাড়ায়। সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত খান জানান, তিনি গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এসি ছিলেন। পরে বদলি হয়ে ময়মনসিংহের এপিবিএন-২ এ যোগ দেন। তবে গত বছরের ১৪ অক্টোবর থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল থেকে অনুপস্থিত থাকায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তখন থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
কাকডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার কামরুজ্জামান বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৬ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট তার বড় ভাই রমজান আলী রংপুর মেট্রোপলিটন আমলি আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়।
প্রধান আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুরের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার ইমরান হোসেন, ওসি রবিউল ইসলাম, এএসআই সৈয়দ আমীর আলী, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসাদ মণ্ডল ও মশিউর রহমান, প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান রাসেল এবং ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।
এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে। এখন পর্যন্ত মামলার আসামিদের মধ্যে পুলিশের সাবেক এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ গ্রেপ্তার রয়েছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ