ঢাকা, বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২
কোন মাসে কেমন ছিল আগের ১২টি সংসদ নির্বাচন
.jpg)
বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর এবার আবারোও আলোচনায় এসেছে—ভোটের সময়গুলোর ও রাজনৈতিক বাস্তবতা।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ফেব্রুয়ারি মাসে ভোট হয়েছিলো তিনবার। সম্ভাব্য ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনও যদি এই মাসে হয়, তাহলে ফেব্রুয়ারি হবে সবচেয়ে বেশি বার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মাস।নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি ও মার্চ মাসে নির্বাচন হয়েছে দুইবার করে। মে, জুন, অক্টোবর ও ডিসেম্বরেও ভোট হয়েছে একাধিকবার।
১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ দেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন আওয়ামী লীগ ১৫টি দলের অংশগ্রহণে ২৯৩টি আসন নিশ্চিত করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।পরবর্তী নির্বাচনে ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে বিএনপি প্রথমবার অংশ নিয়ে ২০৭টি আসনে জয়লাভ করে, যা ছিল নতুন দল হিসেবে বড় অর্জন।
এরপর ১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপা পায় ১৫৩ আসন এবং আওয়ামী লীগ পায় ৭৬ আসন। বিএনপি বর্জন করে নির্বাচন। ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ চতুর্থ সংসদ নির্বাচনেও বিএনপি-আওয়ামী লীগ অংশ নেয়নি। তখন জাতীয় পার্টি একচ্ছত্র আধিপত্যে পায় ২৫২ আসন।
দেশে প্রথমবারের মতো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। সামরিক শাসনের পতনের পর এ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করে।
এরপর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে বিএনপির অধীনে অনুষ্ঠিত একতরফা নির্বাচন বর্জন করে বেশিরভাগ দল। তখন মাত্র তিনটি দল অংশ নেয়। এই নির্বাচন বাতিল করে ওই বছরের ১২ জুন অনুষ্ঠিত হয় সপ্তম সংসদ নির্বাচন। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট সরকার গঠন করে।
২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ২১০ আসনে জয়ী হয়। আওয়ামী লীগ পায় ৬২ আসন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের ব্যানারে আওয়ামী লীগ পায় ২৩০ আসন, বিএনপি পায় ৩০টি।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশ নেয়নি। ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় আওয়ামী লীগ ও শরিকরা।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
সবশেষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর বর্জনের মধ্যেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং আওয়ামী লীগ আবারো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়।
বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনগুলো কেবল রাজনৈতিক পালাবদলের ক্ষেত্র নয়, সময় ও প্রেক্ষাপট অনুসারে ভিন্ন মাত্রা ও বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটায়। এখন রাজনৈতিক দৃষ্টি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির দিকে, যেখানে ভোটের তারিখের সঙ্গে সঙ্গে জড়িয়ে আছে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ পথরেখা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- শিবলী রুবাইয়াত ও শেখ শামসুদ্দিন শেয়ারবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১২ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৯ কোম্পানি
- ‘মুজিব’স ব্লান্ডার্স’: নেপথ্যের ষড়যন্ত্র উন্মোচন