ঢাকা, রবিবার, ১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ভেপ ডে ২০২৫: দুই দশকের তথ্য ও জীবন বদলের গল্প

৩০ মে বিশ্বব্যাপী পালিত হলো ওয়ার্ল্ড ভেপ ডে ২০২৫, যা জনস্বাস্থ্যের এক যুগান্তকারী পরিবর্তনকে সামনে নিয়ে আসে—তামাকের ক্ষতি হ্রাস ও ভেপিং গ্রহণযোগ্য হওয়ার ফলে ধূমপানের হার দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য “২০ বছরের তথ্য”—পেছনের দুই দশকে সংগৃহীত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ও ধূমপান ছেড়ে দেওয়া লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছে।
যেসব দেশ তামাক নিয়ন্ত্রণে ক্ষতি হ্রাসমূলক কৌশল গ্রহণ করেছে—যেমন সুইডেন, যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ড—সেসব দেশে ধূমপানের হার রেকর্ড পরিমাণে কমে এসেছে। বিপরীতে, যেখানে ভেপিংয়ের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, সেসব দেশ পিছিয়ে পড়ছে। বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে—ভেপিং ধূমপানের তুলনায় অনেক কম ক্ষতিকর এবং এটি প্রচলিত নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির চেয়েও বেশি কার্যকর।
আজগর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. নাজমুল হুদা বলেন, “প্রমাণ যত বাড়ছে, জনস্বাস্থ্যে ক্ষতি হ্রাস কৌশলের প্রভাব ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সুইডেনে নিরাপদ নিকোটিন পণ্যে সহজপ্রাপ্যতা ধূমপান প্রায় নির্মূল করে দিয়েছে এবং নিউজিল্যান্ড ধীরে ধীরে ধূমপানমুক্ত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাস্তবতা বলছে—যখন প্রাপ্তবয়স্কদের হাতে নিয়ন্ত্রিত ভেপিং পণ্য থাকে, তখন ধূমপানের হার দ্রুত কমে, অধিকতর প্রাণ রক্ষা হয় এবং স্বাস্থ্য বৈষম্য হ্রাস পায়।”
তবুও, এই সাফল্যের গল্পগুলো অনেক সময়ই আন্তর্জাতিক আলোচনার বাইরে থেকে যায়। বিশেষ করে ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের মতো আয়োজনগুলোতে ক্ষতি হ্রাসের বিষয়টি প্রায় অনুপস্থিত। তাই ওয়ার্ল্ড ভেপ ডে বিশ্বব্যাপী এই আলোচনাকে প্রসারিত করতে চায়—যেখানে মানুষের জীবনের অভিজ্ঞতা, জনস্বাস্থ্যভিত্তিক উদ্ভাবন এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণ থাকবে মূল কেন্দ্রে।
বিশ্বব্যাপী যেসব দেশে ভেপিংয়ের স্বাদে নিষেধাজ্ঞা বা সম্পূর্ণ নিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেখানে অনেক ধূমপায়ী আবার পুরনো অভ্যাসে ফিরে যাচ্ছে। এতে করে ধূমপান-সংক্রান্ত রোগ ও মৃত্যুহার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এবারের বিশ্ব ভেপ ডে-তে আহ্বান জানানো হয়েছে—নীতি নির্ধারকরা যেন ভয় নয়, বরং বাস্তবতা ও তথ্যের ওপর ভরসা করেন। যারা সফলভাবে ধূমপান ছাড়তে পেরেছেন, তাদের অভিজ্ঞতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিতে হবে—যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর সমাজে বেড়ে উঠতে পারে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা
- ‘বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ডাকাতদের আড্ডা হয়ে গেছে’