ঢাকা, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাংলাদেশকে দমাতে গিয়ে বিপাকে ভারত!

২০২৫ মে ১৯ ১২:৪৪:১৪
বাংলাদেশকে দমাতে গিয়ে বিপাকে ভারত!

ডুয়া ডেস্ক:বাংলাদেশ থেকে কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের আমদানিতে কঠোরতা আরোপ করেছে ভারত, যার ফলে এবার উল্টোভাবে চাপে পড়তে যাচ্ছে দেশটিরই কয়েকটি রাজ্য, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ। ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য বলছে, জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোববার(১৮ মে) রাতে এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ভারত সরকার একটি নতুন নির্দেশনায় বাংলাদেশ থেকে প্রস্তুত পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যসহ কিছু নির্দিষ্ট পণ্য শুধুমাত্র নির্ধারিত বন্দর দিয়েই আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এতে কার্যত স্থলবন্দর দিয়ে এসব পণ্যের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কম দামে বাংলাদেশি পোশাক ভারতের খুচরা বাজার দখল করে নিচ্ছে, যা দেশীয় শিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ। অনেক ক্ষেত্রে একে ‘ডাম্পিং’ বলেও আখ্যায়িত করা হচ্ছে। একজন বাণিজ্য বিশ্লেষক জানান, এই পদক্ষেপ কেবল অর্থনৈতিক নয় বরং কৌশলগত, যার সঙ্গে ভূরাজনৈতিক পরিবর্তন—বিশেষত ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ক—জড়িত থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, "যদিও এই সিদ্ধান্তের ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্ভাবনা আছে তবুও জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।"

পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য কার্তিক চক্রবর্তী জানান, আগে প্রতিদিন ২০-৩০টি ট্রাকে বাংলাদেশি পোশাক আসত, যা নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। ট্রান্সশিপমেন্ট চালু থাকাকালে এই সংখ্যা ছিল ৬০-৮০টি ট্রাক পর্যন্ত।

তিনি সতর্ক করেন, “এই সিদ্ধান্তের ফলে সীমান্ত এলাকার চালক, হেলপার ও লজিস্টিকস কর্মীরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এছাড়া, সমুদ্রপথে পণ্য আনতে সময় লাগে প্রায় দুই সপ্তাহ, যেখানে স্থলপথে মাত্র ৩-৪ দিনেই পণ্য পৌঁছে যায়।”

এদিকে ফলমূল, জুস, কার্বনেটেড ড্রিংকস, প্রক্রিয়াজাত খাবার (যেমন বিস্কুট, চিপস, কনফেকশনারি), তুলা ও তুলা বর্জ্য, পিভিসি ও প্লাস্টিকজাত পণ্য, ডাইস, প্লাস্টিসাইজার, গ্র্যানুলস এবং কাঠের আসবাবপত্র—এসব পণ্য আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম ও পশ্চিমবঙ্গের নির্দিষ্ট এলসিএস দিয়ে আমদানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারকে সুরক্ষিত করলেও সীমান্ত রাজ্যগুলোর অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে