ঢাকা, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চাকরির ফাঁ’দে ৩৩ বাংলাদেশি, মালয়েশিয়ায় মামলা

২০২৫ মে ১৯ ২০:৩৩:৪৮
চাকরির ফাঁ’দে ৩৩ বাংলাদেশি, মালয়েশিয়ায় মামলা

ডুয়া ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে মালয়েশিয়ার একটি রিক্রুটিং ফার্ম এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও বিভাগের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিক। ক্ষতিপূরণ হিসেবে তারা ১ দশমিক ৭২ মিলিয়ন রিংগিত বা ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা দাবি করেছেন।

মালয়েশিয়ার স্থানীয় অধিকার সংগঠন তেনাগানিতা শনিবার (১৭ মে) বিষয়টি প্রকাশ করেছে।

গত ১২ মার্চ মালয়েশিয়ার শাহ আলম শহরের হাইকোর্টে মামলাটি দায়ের করা হয় বলে জানা গেছে। মামলায় বিবাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মেরান্তি বিনামাস এসডিএন বিএইচডি নামের একটি রিক্রুটিং কোম্পানি, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল, ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রধান এবং সরকারি কর্মচারীদের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণকারী সরকারি বিভাগকে। চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে মালয়েশিয়ার একটি রিক্রুটিং কোম্পানি এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিক। তারা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করেছেন ১.৭২ মিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিংগিত, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪ কোটি ৮০ লাখ।

মালয়েশিয়ার অভিবাসী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন তেনাগানিতা গত শনিবার (১৭ মে) বিষয়টি প্রকাশ করে। জানা গেছে, ১২ মার্চ মালয়েশিয়ার শাহ আলম হাইকোর্টে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলায় বিবাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে: মেরান্তি বিনামাস এসডিএন বিএইচডি নামক একটি রিক্রুটিং ফার্মকে, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়কে, ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালককে এবং সরকারি কর্মচারীদের তদারককারী সংস্থাকে।

শ্রমিকদের অভিযোগ ও দাবি

শ্রমিকরা আদালতের কাছে আবেদন করেছেন যেন, তাদের মানবপাচার ও প্রতারণার শিকার হিসেবে ঘোষণা করা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি স্বীকৃতি পায়, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইমিগ্রেশন বিভাগ তাদের আটক না করে।

তাদের দাবি অনুযায়ী, নির্মাণ শ্রমিকের চাকরি দেওয়ার কথা বলে মেরান্তি বিনামাস ফার্ম তাদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসে। বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাইকমিশন ওই চাকরির প্রস্তাবের সত্যতা নিশ্চিত করে।

প্রতিশ্রুতি ছিল:

মাসিক ১৫০০ রিংগিত (প্রায় ৬০ হাজার টাকা) বেতন, ওভারটাইমের সুযোগ। কিন্তু পরে জানানো হয়, কোটা অনুমোদন, লেভি, পারমিট, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও এজেন্টের কমিশনের নামে প্রত্যেককে ২৫ হাজার রিংগিত (সাড়ে ৬ লাখ টাকার বেশি) দিতে হবে — যা বাস্তবে নিয়োগকর্তার বহনের কথা ছিল।

২০২৩ সালের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে মালয়েশিয়ায় পৌঁছান শ্রমিকরা। তাদের ভ্রমণ নথি ও পাসপোর্ট জমা নিয়ে একটি ডরমিটরিতে রাখা হয়। পরে তারা জানতে পারেন যে চাকরির প্রস্তাবগুলো আসলে ভুয়া ছিল

পরিস্থিতির শিকার হয়ে তারা তেনাগানিতা নামক সংস্থার কাছে অভিযোগ করেন। এরপর শ্রম বিভাগ বিষয়টি তদন্ত শুরু করে ।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে