ঢাকা, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২
এশিয়ার চার দেশের ওপর ৩৫২১ শতাংশ শুল্কারোপ ট্রাম্পের
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: বিশ্ব অর্থনীতি যেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে খেলার বস্তু। শুল্ক আরোপের ‘খেলা’য় মেতেছেন ট্রাম্প। আগে যেখানে শুল্কের হার ছিল দশকের ঘরে, তা বাড়িয়ে নিয়েছিলেন শতকে। এবার সেই হার আরও বাড়িয়ে নিয়ে গেলেন হাজারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চারটি দেশের সোলার প্যানেলের ওপর সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫২১ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ব্রিটিশ সংবাদমাদ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের সোলার প্যানেলের ওপর সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫২১ শতাংশ শুল্ক আরোপের এই ঘোষণা দিয়েছে আমেরিকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এসব দেশের সোলার প্যানেলের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা চীনের ভর্তুকি নিচ্ছে এবং মার্কিন বাজারে থাকা পণ্যগুলোতে প্রভাব ফেলছে।
প্রায় এক বছর আগে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে দেশটির সোলার প্যানেল সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো অভিযোগ করে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশের প্রতিযোগিতার কারণে তারা বাজারে টিকে থাকতে পারছে না এবং ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
তদন্ত শেষে এবার ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে মার্কিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরেক সংস্থার সমঝোতার পর। এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সর্বোচ্চ শুল্কের আওতায় আসবে কম্বোডিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠান। এই কোম্পানিগুলো যদি যুক্তরাষ্ট্রে সোলার প্যানেল সরঞ্জাম রপ্তানি করতে চায়, তাহলে তাদের সর্বোচ্চ ৩,৫২১ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।
কম্বোডিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা তদন্ত চলাকালে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতায় অনিচ্ছুক ছিল। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন শুল্ক আরোপের তালিকায় রয়েছে মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠান জিঙ্কো সোলার, যাদের ওপর সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ শুল্ক ধার্য হতে পারে। আর থাইল্যান্ডের ত্রিনা সোলারের ক্ষেত্রে এই হার হতে পারে ৩৭৫ শতাংশ।
শুল্ক আরোপের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান এখনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে আরোপিত শুল্ক এড়াতে অনেক চীনা কোম্পানি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের উৎপাদন কার্যক্রম সরিয়ে নেয়। এবার সেইসব প্রতিষ্ঠানই সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
আমেরিকান বাণিজ্য বিভাগের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির অ্যালায়েন্স ফর সোলার ম্যানুফ্যাকচারিং ট্রেড কমিটি। এই অ্যালায়েন্সের প্রধান পরামর্শদাতা টিম ব্রাইটবিল বলছেন, “এটি আমেরিকান ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের জন্য একটি উল্লেখ করার মতো বিজয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে জেনে আসছি, চীনের সম্পৃক্ত থাকা সৌর কোম্পানিগুলো সিস্টেমের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এবার তা সত্য বলে বেরিয়ে এল।”
মার্কিন পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই চারটি দেশ থেকে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের সৌর সরঞ্জাম আমদানি করেছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- তিন শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, ডিএসইর সতর্কবার্তা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে