ঢাকা, শুক্রবার, ১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
‘বিগত সরকার সংবাদপত্রকে শত্রু হিসেবে দেখেছে’

ডুয়া নিউজ: নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সদস্য ও প্রথম আলোর প্রকাশক মতিউর রহমান বলেছেন, বিগত সরকার সংবাদপত্রকে শত্রু হিসেবে দেখেছে।
তিনি মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নোয়াবের সভাপতির উপস্থিতিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই মন্তব্য করেন।
মতিউর রহমান উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্রের পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে এবং ডিজিটাল মিডিয়ার উত্থানে ছাপা সংবাদপত্রের অবস্থান সংকটমুক্ত নয়। করোনা মহামারিতে সার্কুলেশন এবং বিজ্ঞাপন আয়ে ব্যাপক হ্রাস হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে এবং তার আগের সরকারের সময়ে সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হয়েছে এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কখনই নিশ্চিত হয়নি, যার ফলে সাংবাদিকরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারেননি।
নোয়াবের সভাপতি সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ বলেন, প্রকাশক হিসাবে আমাদেরকেও হমকি ও ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে। করোনার সময় সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা দেওয়া হলেও সংবাদপত্রকে কোনো প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। কমিশন সম্পাদকদের স্বাধীনতার জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
নোয়াবের সদস্য ডেইলি স্টারের প্রকাশক মাহফুজ আনাম বলেন, গণমাধ্যমের আইনগত কাঠামো ও পরিবেশ সব কিছু মিলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিবেশ আমাদের নেই।
নোয়াবের সদস্য দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমে সংস্কার কমিশনকে অন্য কোনো স্বার্থান্বেষী গ্রুপ যেন ব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে বহু সম্পাদক এখন মামলার শিকার, পলাতক এবং তাদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে।
নোয়াবের সদস্য নিউ এজের প্রকাশক শহিদুল্লাহ খান বলেন, পত্রিকার মিডিয়া তালিকাভুক্তি পদ্ধতি রাখার প্রয়োজন আছে কি না সে বিষয়ে ভেবে দেখা দরকার। প্রেস কাউন্সিলকে আধুনিকায়ন করা দরকার এবং এটিকে নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করতে হবে।
নোয়াবের সদস্য দৈনিক সংবাদের প্রকাশক আলতামাস কবির বলেন, রাজনৈতিক পক্ষপাত থাকলেও স্বাধীন সাংবাদিকতা সম্ভব এবং তা নিশ্চিত করতে হবে।
নোয়াবের সদস্য দৈনিক ফিনান্সিয়াল হেরাল্ড এর প্রকাশক মাসরুর রেজা বলেন, সংবাদপত্র প্রকাশ ও অনুমতি প্রদানের ব্যবস্থাপনায় ক্ষমতার অপপ্রয়োগ হয়েছে। যা ভবিষতে বন্ধ করার সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করার জন্য তিনি কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।
মিশন প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, কমিশন কোনো স্বার্থন্বেষী দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ নেই এবং অংশীজনের সুনির্দিষ্ট মতামতের ভিত্তিতে কমিশন তার সুপারিশমালা তৈরি করবে। এসময় তিনি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি, যেমন বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার স্বায়ত্তশাসন নীতিমালা প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় সব মহলের মতামত গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, শামসুল হক জাহিদ, আখতার হোসেন খান, সৈয়দ আবদাল আহমদ, ফাহিম আহমেদ, জিমি আমির, মোস্তফা সবুজ, টিটু দত্ত গুপ্ত, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও বেগম কামরুন্নেসা হাসান।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- এক বহুজাতিকের ধাক্কায়ই কেঁপে উঠল শেয়ারবাজার
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৬৫ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- শেয়ারবাজারে চলছে বহুজাতিক কোম্পানির ডিভিডেন্ড উৎসব
- সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ঢাবির হলে ধূমপায়ীদের সিট না দেওয়ার ঘোষণা; প্রশংসায় ভাসছেন প্রভোস্ট
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- ইপিএস প্রকাশ করার তারিখ জানাল ১৫ প্রতিষ্ঠান
- স্টক ডিভিডেন্ড পেল ৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি